নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফের শীতের রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতায়। নারকেলডাঙা থানার পাশে শনিবার রাত ১০টা নাগাদ আচমকা বস্তিতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে যায় একের পর এক ঘর। শুধু তাই নয়, বাতাসের কারণে আগুনের লেলিহান শিখা মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রায় ৩০টির মতো ঘর পুড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। আগুন আয়ত্বে আনতে আনা হয় ল্যাডারও। হাজির হন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়। তারপরই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বস্তিতে থাকা বয়স্ক ও শিশুদের বাড়ি থেকে কোনওরকমে বের করা হয়। একের পর এক ঘরে আগুন লেগে গৃহহীন হয়েছেন কয়েক’শ মানুষ। স্থানীয়দের কথায়, এই এলাকায় ছিল দাহ্য পদার্থের গোডাউন। ফলে, আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করে।
ঘটনাস্থলের কাছেই একটি পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেটিতেও আগুন লেগে যায়। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। তবে এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় কাজে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। স্থানীয়দের দাবি, কার্টুনের গুদাম থেকে আগুন লাগে। ঠিক কি কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল। এদিকে, পকেট ফায়ার নেভাতে দমকল কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ নিয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘আগুন লাগার খবর সঙ্গে সঙ্গেই পেয়েছিলাম। দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা পৌঁছে যান। দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লেগেছে বলে আমি শুনেছি। কোনও বিপত্তি ঘটেনি। কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’