নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার টোটোচালক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফুটেজে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সৌমিত্র রায় ওরফে রাজ। সে নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। নিউটাউন আদর্শপল্লি এলাকায় ভাড়া থাকে। এই ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পকসো আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৯ মিনিট নাগাদ জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ওই নাবালিকা ধৃতের টোটোতে ওঠে। জেরায় টোটোচালক জানিয়েছে, ওই নাবালিকা তাকে বলেছিল গৌরাঙ্গনগর নিজের বাড়ি যাবে। টোটোর অন্যান্য যাত্রীরা পিছনে বসলেও নাবালিকাকে সামনে তার পাশে বসায় চালক। বাকি যাত্রীদের ছেড়ে দিয়ে নাবালিকাকে নিউটাউনের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে লোহা ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় সে। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে পুলিশ। শনিবার রাতে নিউটাউন পুলিশ ক্যাম্প এলাকা থেকে সৌমিত্রকে প্রথমে আটক করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কথা বার্তায় অসংগতি ধরা পরে। ঠিকঠাক জবাব না পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নিউ টাউনের লোহাপুলের কাছে জঙ্গলে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মৃতের মা দাবি করেন, মেয়ের সারা শরীরে তিনি আঁচড়ের দাগ দেখেছেন। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, বাড়িরে ঝামেলা করে বৃহস্পতিবার রাতে বেরিয়ে গিয়েছেল নাবালিকা। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পরে ভোরে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে পাওয়া যায় কিশোরীর দেহ।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জগৎপুরের কাছে এক জায়গায় পুলিশ তিনটি মোটরবাইক চিহ্নিত করেছে। তবে বাইকের নম্বরগুলি বোঝা যায়নি। পুলিশের অন্দরের খবর, এ জন্য দায়ী নিউ টাউন এলাকার ক্যামেরার মান এবং বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরা বিকল হয়ে থাকার বিষয়টি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শেষবারের মতো জগৎপুরে দেখা গিয়েছিল ১৪ বছরের নাবালিকাকে। সেখান থেকে লোহা ব্রিজ, যেখানে তাঁর নিথর দেহ পাওয়া গিয়েছে, দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। কীভাবে সে পৌঁছল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়।