এই সময়, গোবরডাঙা: মিনিবাস ভর্তি পর্যটক নিয়ে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে যাচ্ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ট্যুর অপারেটর আকাশ দাস। কিন্তু শনিবার ভোরে পুরুলিয়ার হুড়ায় ৬০–এ জাতীয় সড়কে তাঁদের বাস দুর্ঘটনায় পড়লে মৃত্যু হয় আকাশের। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাসের আরও চার যাত্রী। তাঁদের পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ী বলেন, ‘চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের এক জনকে আইসিসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা থেকে শুক্রবার রাত ১১টার সময়ে একটি ট্রাভেলার ও একটি বড় বাসে রওনা দেন পর্যটকরা। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ হুড়ায় ওভারটেক করতে গিয়ে একটি ডাম্পারের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয় ওই ট্রাভেলারটি। এতে বাসটির সামনের বাঁ দিকের অংশ কার্যত উড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হুড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে আকাশ দাসকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ছোট ওই বাসটির সামনের দিকে কয়েকজন পর্যটককে সঙ্গে নিয়ে বসেছিলেন আকাশ।
এ দিনই গোবরডাঙা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ায় আকাশের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছয়। মৃতের বাবা শ্যাম দাস বলেন, ‘আমার তিন ছেলেই ট্যুর কন্ডাক্ট করত। এর আগে ওরা পুরী গিয়েছিল। এ বার পুরুলিয়া। আমি বাস ছাড়ার সময়ে ছিলাম। তখনই ছেলেদের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল।’ তিন ভাইয়ের মধ্যে আকাশ ছোট। সব মিলিয়ে ৮০ জনকে নিয়ে তাঁরা অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পর্যটকরা প্রত্যেকই গোবরডাঙা ও আশপাশের বাসিন্দা। এ দিন সকলেই মৃতের বাড়িতে যান গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সান্ত্বনা দেন তিনি। ফোনেই মৃতদেহের ময়না–তদন্তের তদারকি করেন। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা মৃতের পরিবারের সঙ্গে রয়েছি।’