প্রদ্যুত্ দাস: নিউটাউনে নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষণ করে খুন করা হয় নাবালিকাকে। অভিযুক্ত এক ই-রিক্সা চালক। ঘটনায় তুলকালাম পরিস্থিতি নিউটাউনে। এরই মধ্যে ঠিক একই ধরণের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার টোটোচালক। শনিবার সন্ধ্যায় এনিয়ে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। আজ সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। জলপাইগুড়ির কাদোবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে রোজই স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করত ওই টোটোচালক। গত ২১ জানুয়ারি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সে ছাত্রীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে বললে ছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় সে।
ওইদিন স্কুলে না নিয়ে গিয়ে সারাদিন ঘুরিয়ে বিকেলে ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় ওই টোটোচালক। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই টোটোচালক মেয়েটিকে চকোলেট খেতে দেয়। পরিচিত হওয়ার সুবাদে ছাত্রী সেটি নেয়। কিন্তু ওই চকোলেট খেতেই বেহুঁশ হয়ে পড়ে সে। এরপর মেয়েটিকে ওই টোটোচালক স্কুলে না নিয়ে গিয়ে তিস্তাপাড়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। যেহেতু ওই টোটোচালক ভয় দেখিয়ে রেখেছিল, সেকারণে ঘটনার কথা এতদিন বাড়িতে জানায়নি ওই ছাত্রী। কিন্তু শুক্রবার মেয়েটির স্কুল ব্যাগ থেকে তার মা প্রেগন্যান্সি কিট পান। এরপর তিনি চেপে ধরতেই ওই ছাত্রী গোটা ঘটনাটি জানায়। এমনকী এটাও বলে, ওই টোটোচালকই তাকে ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা করতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, এদিকে নিউটাউনকাণ্ডে তদন্তে জানা গিয়েছে যে বালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে তার শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে এক ই-রিক্সা চালক তাকে ই-রিক্সাতে বসায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে।
এরপর ই-রিক্সার পিছনের সিটে বসে যায় নাবালিকা। অন্য যাত্রীরা উঠলে নাবালিকাকে ই-রিক্সা চালক সামনের সিটে বসিয়ে নেয়। ই-রিক্সা চালক নিউটাউনে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পর নিউটাউনের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানোর পর লোহা ব্রিজের কাছে ফেঙসিং ঘেরা পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ ধৃত টোটো চালকের বিরুদ্ধে।