নাবালিকার ব্যাগে প্রেগন্যান্সি কিট পাওয়াতেই সন্দেহ হয় পরিবারের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে ভয়াবহ তথ্য। অভিযোগ, স্কুল থেকে ফেরার পথে চকোলেটের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তা খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করে এক টোটো চালক। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে। শনিবার জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেপ্তার করে জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। এ দিন বছর ২৬-এর অভিযুক্ত যুবককে জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। টোটো চালক নাবালিকার এলাকারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, নাবালিকার বাড়ির এলাকাতেই থাকেন ওই টোটো চালক। সে মাঝে মধ্যে ওই নাবালিকাকে স্কুলে পৌঁছে দিত। নাবালিকার ঠাকুমা বলেন, ‘দু’সপ্তাহ আগে ওই টোটো চালক নাতনিকে তিস্তা বাঁধ এলাকায় পার্কে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি চকোলেটও খাওয়ায়। তার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
যেহেতু টোটো চালক নাবালিকার পরিচিত ছিল তাই প্রথমে কারও কিছু সন্দেহও হয়নি। নাবালিকার অভিযোগ, ওই চকোলেট খাওয়ার পরে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেই সুযোগে টোটো চালক তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকা যাতে এই বিষয়ে কাউকে না জানায় সে জন্য হুমকিও দিয়েছিলেন ওই যুবক।
এই ঘটনার পর আতঙ্কে প্রেগন্যান্সি কিট কিনে আনে ওই নাবালিকা। তা নজরে পড়ে যায় পরিবারের। শনিবার এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পরিবারের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকা। টোটো চালকের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ পরিবারকে জানাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। এ দিন জলপাইগুড়ি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানোর পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তবে নাবালিকাকে চকোলেটের সঙ্গে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল নাকি অন্য কিছু—সমস্তটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।