পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়ল কলকাতা হাই কোর্টে। এ বিষয়ে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন কয়েক জন চিকিৎসক। অবসরের পাঁচ বছর পরেও চিকিৎসক মানস চক্রবর্তী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পদ বসে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারের পদ ছাড়তে হবে মানসকে। আদালতের নির্দেশে পদ থেকে সরতে হয় তাঁকে। এই অবস্থায় ৩০ জানুয়ারির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েক জন চিকিৎসক।
মামলাকারীদের বক্তব্য, রেজিস্ট্রারের পদ থেকে মানস সরে যাওয়ার ফলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে। তাঁরা চাইছেন নতুন কেউ কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করার আগে পর্যন্ত মানসকে ওই পদে পুনর্বহাল করা হোক। এই মর্মে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে মানসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এর পরেও তিনি দায়িত্ব ছাড়েননি। কার্যকালের মেয়াদ ফুরানোর পরেও পাঁচ বছর ধরে ওই পদে থেকে যান মানস। বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী, সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও পদে থাকতে গেলে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমোদন দরকার হয়। এ ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অর্থাৎ, রাজ্যের অনুমোদন ছাড়াই মানস পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেছেন। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এটি বেআইনি।
ওই সময়ে হাই কোর্ট প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘সরকারের থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিল বড় নয়। কাউন্সিলের সদস্যেরা মহান পেশায় রয়েছেন। তাই তাঁদের মহান ভাবেই কাজ করা উচিত। ছ’হাজার টাকায় পশ্চিমবঙ্গে কর্মীদের কাজ করানো হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন রেজিস্ট্রারকে নিয়োগ করা হবে।’’ এই অবস্থায় নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত মানসকেই দায়িত্বে বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা।