• বর্ধমানে নেতা-কর্মীদের নিবিড় জনসংযোগের নির্দেশ নেতৃত্বের
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতা এবং কর্মীদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিধায়ক খোকন দাস বলেন, আমরা কী কী করেছি, তা মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে। রথতলা, কাঞ্চননগরে আমিই কাজ করেছি। তারপরও বিধানসভা নির্বাচনে পিছিয়ে গিয়েছিলাম। এত কাজ করার পরও মানুষ কেন আমাদের ভোট দিচ্ছে না, তা লোকসভা নির্বাচনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। কী কী কাজ এলাকার মানুষের জন্য করা হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়। তারপরই লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে আমরা লিড পাই। মানুষের কাছে গিয়ে এভাবে মনে করাতে হবে। সেটা করা হলে আর কিছু করার দরকার নেই। এদিনের কর্মসূচিতে বর্ধমান শহরের তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় সিংহরায়, দলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস সহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন। 


    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই সম্মেলন করা হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘ওয়ার্মআপ’ করে নিতে চাইছে শাসক দল। শহরের কাজের তালিকা সম্মেলনগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটি ওয়ার্ডে শাসক দল পিছিয়ে রয়েছে। ওই ওয়ার্ডগুলিতে সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওই ওয়ার্ডগুলিতে একাধিকবার সম্মেলন করার পরিকল্পনা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে গতবারের থেকে আরও বেশি লিড বাড়ানোর টার্গেট নিয়েই নেতৃত্ব এখন থেকে ময়দানে নামছে। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক বলেন, শহরের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পেভারব্লক দিয়ে মজবুত রাস্তা তৈরি হচ্ছে। শহরের কয়েকটি রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেগুলিও সংস্কার করা হবে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাচ্ছে। আরও পথবাতি লাগানো হবে। আগামী দিনে বিসি রোডও যানজট মুক্ত করা হবে। আগে শহরের বাসিন্দারা শবদেহ নিয়ে শ্মশানে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন। এখান সেখানেও উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এত কাজ করার পরও কেন মানুষ আমাদের ভোট দেবে না, তা জানতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়ালেই তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। 


    তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শহরে বিজেপি সংগঠন ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই সেই দল থেকে এসে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে চাইছে। 


    যদিও বিজেপি নেতা রাজু পাত্র বলেন, যারা দলকে ভালোবাসে তারা কখনই তৃণমূলে যাবে না। তাছাড়া শহরে কী উন্নয়ন হয়েছে, তা বর্ধমানের মানুষ দেখছেন। রাস্তায় চলাফেরা করা দায় হয়ে উঠেছে। হাতে গোনা কয়েকটি পুকুর রয়েছে, সেগুলিও ভরাট হয়ে যাবে। এসব উন্নয়নই তৃণমূল করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)