নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: আজ শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর নদীয়া জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। তারমধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। নদীয়া জেলার মোট ১৭২টি ভেন্যুতে পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে প্রধান ভেন্যুর সংখ্যা ৪৬ এবং সাব ভেন্যু ১২৬টি। জেলার ২৮ হাজার ৬১৬ জন ছাত্র এবং ৩০ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। নদীয়া জেলা শিক্ষাদপ্তর ইতিমধ্যেই পুলিস প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে কড়া হয়েছে শিক্ষাদপ্তর।
নদীয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যাতে অতিসত্ত্বর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সকল পরীক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
মাধ্যমিক পরীক্ষায় টুকলি আটকাতে প্রশাসন বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, এবছর পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ বোর্ড ব্যবহার করতে হবে। সেই বোর্ডের উপর কোনওরকম লেখা থাকবে না। না হলে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেই পরীক্ষার্থীদের থেকে বোর্ড নিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি গ্যাজেট নিয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ঘড়ি পরে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবে না। যার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ঘড়ি লাগাতে বলা হয়েছে। নদীয়া জেলার চারটি সাব ডিভিশনেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে মোট চারটি গাড়ি থাকছে প্রশাসনের আধিকারিকদের জন্য। যাতে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরা দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারেন।
এবছর প্রশ্নপত্র সময়মতো মেন ভেন্যুতে পৌঁছনো নিয়েও কড়া হয়েছে রাজ্য সরকার। পরীক্ষার দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিসের উপস্থিতিতেই সুপার ভাইজারের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিতে হবে। অতীতে দেখা গিয়েছে, তাড়াহুড়োয় পুলিসের অনুপস্থিতিতেই প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। তারপর প্রশ্নপত্র লিক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা প্রশ্নপত্র রাখা হবে ২০টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে ১৮টি পুলিস স্টেশন এবং দু’টি ট্রেজারি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিক্ষাদপ্তরের নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমেই পরীক্ষা চলবে এবছরও। সেই অ্যাপে কখন প্রশ্নপত্র স্কুলে পৌঁছল, কখন পরীক্ষা শুরু হল, পরীক্ষা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা, কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা সেই সমস্ত কিছু সংশ্লিষ্ট অ্যাপে আপডেট দিতে হবে। যার মাধ্যমে স্কুলেগুলো বোর্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে পারবে। নদীয়া জেলার ডিআই শুভ্রকান্তি নন্দ বলেন, ‘আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। সব পরীক্ষার্থীর কাছে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে গিয়েছে।