নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আজ, সোমবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে তৎপর পুলিস ও প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ জেলায় পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত দু’হাজার পুলিস কর্মীকে পথে নামানো হচ্ছে। সোমবার থেকে মাধ্যমিকের সঙ্গে শুরু হচ্ছে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষাও। জেলায় ১৫২টি বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ৪১টি কেন্দ্রে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা থাকছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পাহারার পাশাপাশি রাস্তায় যানজট আটকাতে পুলিস কর্মীরা সকাল থেকেই পথে নামবেন। পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার থেকে ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরাও রাস্তায় থাকবেন। পরীক্ষার জন্য শহরের ভিতরে রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক দিয়ে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিস। এবার মুর্শিদাবাদ জেলার ৯৪ হাজার ৪৪৮ জন পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসছে। হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় বসবে আরও সাড়ে ১৫ হাজার পড়ুয়া।
মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, পরীক্ষা নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের সমস্ত সিনিয়র অফিসাররা রাস্তায় থাকবেন। রাস্তায় পরীক্ষার্থীদের কোথাও যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য প্রচুর পুলিস মোতায়েন থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রেও পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রশ্নপত্রে কিউআর কোডের পাশাপাশি সিরিয়াল নম্বরও থাকছে। প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর কোনও পড়ুয়ার কাছে মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচের মতো সামগ্রী পাওয়া গেলে তার পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের তল্লাশি করে ঢোকাবে। প্রতিটি থানায় মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র আগেই পৌঁছে গিয়েছে। সেখান থেকে সশস্ত্র পুলিসবাহিনী পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেবে। মুর্শিদাবাদ জেলার ২৫টি থানা ছাড়াও বহরমপুর ট্রেজারিতে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র রয়েছে। প্রশ্নফাঁস আটকাতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে পর্ষদ। নির্দিষ্ট রঙের ট্যাগের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের খামের একই রঙের কোড মিলিয়ে দেখতে হবে পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জদের। এর মাধ্যমে কোন সেন্টারে, কোন ঘরে প্রশ্নপত্র যাচ্ছে, তার হিসেব থাকবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পরিদর্শক এবং পরীক্ষার্থীকে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের ঘরে প্রশ্নপত্রের সিল প্যাকেট খোলা হবে। কোনও পড়ুয়া এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা গার্ডের কাছে কোনও মোবাইল থাকবে না। যাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কেউ বাইরে পাঠাতে না পারে, সেই জন্য এই ধরনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের ছাত্র সিদ্ধার্থ রায় বলে, প্রথমবার বড় পরীক্ষা দিচ্ছি। একটু টেনশন তো হচ্ছেই। তবে আশা করছি, পরীক্ষা ভালো হবে। খাগড়া জিটিআইতে পরীক্ষার সিট পড়েছে। প্রথমদিন মা-বাবার সঙ্গে যাব।