দেউচা পাচামিতে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ব্যাসল্ট তোলা সম্ভব
বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: খুব বেশি হলে আর এক মাস। আশা করা হচ্ছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই সুখবর মিলবে। মাটির প্রায় ২৪ মিটার গভীরে থাকা ব্যাসল্ট শিলার দেখা পাওয়া যাবে। তখনই উত্তোলনের কাজও শুরু হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় এশিয়ার বৃহত্তম কোল ব্লক দেউচা-পাচামিতে খনন চলছে। জেলা পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা নিয়মিত সেই কাজ পরিদর্শন করছেন। রবিবারও জেলাশাসক বিধান রায় সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। মহম্মদবাজারের বিডিও উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার পর জমির নথি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চলা চারটি শিবিরও পরিদর্শন করেন। এছাড়াও মথুরাপাহাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয়া ভবন ও স্কুলে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের কাজও খতিয়ে দেখেন। জেলাশাসক বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর থেকেই দেউচা-পাচামিতে কাজ শুরু হয়েছে। চাঁদা মৌজায় ১২ একর সরকারি জমিতে জোরকদমে খনন চলছে। কড়া পুলিসি নজরদারিতে সেই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকায় কাজের জন্য ২৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিয়োগপত্র পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, এদিন অবধি প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১০৭ ফুট লম্বা ও ১০০ ফুট চওড়া গর্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। গর্তের গভীরতাও যথেষ্ট রয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গর্তের পরিধি ক্রমশ বাড়বে। একযোগে প্রায় চারটি আর্থ মুভার সহ একাধিক ডাম্পার কাজ করছে। আগামীতে খননের গতি বাড়াতে সেই সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পিডিসিএলের তরফে জানা গিয়েছে, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এই গতিতে কাজ চলতে থাকলে আগামী মাসের শুরুর দিকেই ব্যাসল্ট শিলার দেখা পাওয়া যাবে। আশা করা হচ্ছে, তখনই ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে। দেউচা-পাচামিতে মাটির তলায় থাকা পাথরের গুণগতমান যথেষ্ট ভালো। ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের থেকেও এখানকার পাথর অনেক ভালো। এছাড়াও দামের তারতম্যে পাকুড়ের তুলনায় এখানকার পাথর অনেকটাই সস্তা হবে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তোলনের কাজ শুরু হলেই এই পাথরের চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
পিডিসিএলের সিএমডি পি বি সেলিম বলেন, আশা করা হচ্ছে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ব্যাসল্ট তোলার কাজ শুরু করা যাবে। রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই কাজ চলছে। উন্নয়নে শামিল হওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ জানাই।