সংবাদদাতা, কাঁথি: পরচুলা প্রসেসিং কারখানারই কর্মী কয়েকজনের সহায়তায় কারখানা থেকে ১৩৮ কেজি পরচুলা চুরি করে একটি প্রাইভেট গাড়িতে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। তদন্তে নেমে সেই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে সমস্ত পরচুলাও। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৫লক্ষ টাকা! মারিশদা থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাজু শেখ। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার ইলিয়টনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় স্করপিও গাড়ির চালক সহ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। যদিও গাড়ি সহ চালক বর্তমানে বেপাত্তা। বাকি অভিযুক্তরাও অধরা। রাজু পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজু পুলিসকে জানিয়েছে, চুরি করা পরচুলা বিক্রি করে একরাতের মধ্যে বড়লোক হওয়ার নেশা চেপে বসেছিল তার মধ্যে। এত টাকা হাতে নিয়ে সে আগামীদিনে পরচুলার প্রসেসিং কারখানা খুলে মালিক হতে চেয়েছিল। তাই বড় অঙ্কের পরচুলা চুরির ছক কষেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ভালোই চাহিদা রয়েছে এই পরচুলার। দেশে-বিদেশে রপ্তানি হয়। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। আসে বিদেশি মুদ্রাও। মারিশদা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃত যুবককে জেরা করে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করছি আমরা। আশাবাদী, বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা যাবে। গাড়িটিরও হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মারিশদার পশ্চিম পারুলিয়া গ্রামের কমল দাসের এলাকাতেই একটি বড়সড় পরচুলা প্রসেসিং কারখানা রয়েছে। সেখানেই দেড় বছর ধরে কাজ করত রাজু। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মীরা ছুটি নিলেও ছুটি নেয়নি রাজু। সেই সুযোগ কাজে লাগায় সে। ওইদিনই রাত আড়াইটা নাগাদ একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে বেশ কয়েকটি বস্তায় প্রসেসিং করা পরচুলা চুরি করে চম্পট দেয় রাজু। তাকে সহযোগিতা করে বেশ কয়েকজন। চালক মুর্শিদাবাদ থেকে গাড়িটি নিয়ে এসেছিল।