• স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের প্রথম শিলিগুড়ি উৎসব, ভক্তের ঢল  
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মহানাম সংকীর্তন থেকে যজ্ঞ। ভক্তিমূলক সঙ্গীত থেকে বাউল গান। ধর্মীয় পত্রপত্রিকা প্রদর্শনী থেকে প্রসাদ বিলি। সঙ্গে স্বামী দেবানন্দ মহারাজের প্রবচন। রবিবার এভাবেই অনুষ্ঠিত হল স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের প্রথম শিলিগুড়ি উৎসব। তাতে ঢল নামে ভক্তদের। এখানে জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করে তোলার পথের সন্ধান দেন স্বামী দেবানন্দ মহারাজ। এজন্য তিনি সকলকে সাধুসঙ্গ করার পরামর্শ দেন। 


    প্রায় এক বছর আগে এখানে স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের দিব্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত ভক্তিমূলক আলোচনা করা হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের উদ্যোগেই শহরের দোমাইলের কাছে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের প্রথম শিলিগুড়ি উৎসব। এদিন সকালে সত্যযুগাশ্রীত মহানাম সংকীর্তনের মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। তাতে আশ্রমের ভক্তরা উপস্থিত হন। এরপর সেখানে হয় হোমযোগ্য। তা শেষ হতেই স্বামী দেবানন্দের লেখা গান ও বাউল গান মঞ্চস্থ হয়। এরপাশেই ছিল আশ্রমের পুস্তক ও পত্রপত্রিকা প্রদর্শনীর স্টল। এভাবেই দুপুর গড়ায়। তাতে কলকাতা, বর্ধমান, গুয়াহাটি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা শামিল হন। এরপর ছিল স্বামী দেবানন্দ মহারাজের প্রবচন। ভক্তদের ঈশ্বরস্বরূপ বলে সম্বোধন করে তিনি বলেন, আমি হাত দেখি না, তাবিজ, মাদুলি দিই না। আমি ভক্তদের ভালো থাকার রাস্তাটা বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। 


    ৪০ বছর ধরে এটাই করে আসছি। সবাই চায় জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করতে। কিন্তু কোন রাস্তায় হাঁটলে জীবন সুন্দর ও আনন্দময় হবে, মানুষ জেনেও সেটা বুঝতে পারছে না। মহারাজ আরও বলেন, সমাজে বসবাস করতে গেলে খাবার, জামা কাপড়, টাকা পয়সা, বাড়ি সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। কিন্তু কতটা প্রয়োজন সেই পরিমাপটা মানুষ জানে না। তাই সাধুসঙ্গ করে এসব বিষয় জেনে নিতে হয়। সাধুর কাছে কোনও অহঙ্কার নিয়ে গেলে চলবে না। 


    তাঁর কথাগুলি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিয়ে শুনতে হবে, মনন করতে হবে। তাঁর জীবন ছন্দের সঙ্গে নিজের জীবন ছন্দকে মিলিয়ে নিতে হবে। তাঁর অসীম ছন্দের সঙ্গে নিজেকে ছন্দিত করার চেষ্টা করতে হবে। তা হলেই জীবন সুন্দর ও আনন্দময় হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)