সংবাদদাতা, বাগডোগরা: পুলিস পরিচয় দিয়ে বাগডোগরায় লক্ষাধিক টাকার সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিস সেজে সচেতন করার নামে গলা থেকে চেন ও আঙুল থেকে আংটি খুলে চম্পট দেয় চার দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাগডোগরা বুড়ি বালাসনের কলেজপাড়ায়। এদিন সত্তোরর্ধ্ব আশুতোষ বসু বাড়ির সামনে বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন। এমন সময় দু’টি বাইকে করে চারজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এসে নিজেদের পুলিস পরিচয় দেয়। তারা আশুতোষবাবুকে বলে, দিনকাল ভালো নয় চেন, আংটি এসব খুলে রাখবেন। পুলিসের পক্ষ থেকে তারা সচেতন করতে এসেছে। তারা যে পুলিস তার পরিচয়পত্র দেখায়। একটি কাগজ দিয়ে বলে, এই কাগজে সোনার চেন ও আংটিটি মুড়ে ঘরে রেখে দেবেন। এদিকে, পাশে থাকা মিষ্টির দোকানের মালিক মনোজ ঘোষকে ওই চারজনের মধ্যে একজন মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যান্সার হাসপাতালের ঠিকানা জানতে চেয়ে তাঁকে ব্যস্ত রাখেন। বৃদ্ধ আশুতোষবাবু পুলিস পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির দেওয়া কাগজে সোনার অলঙ্কার খুলে রাখেন। এরপর সেখান থেকে ওই চারজন চলে যায়। পরে আশুতোষবাবু কাগজ খুলে দেখেন সেই কাগজের মধ্যে রয়েছে সামান্য বালি। তাঁর সোনার চেন ও আংটি উধাও। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন গল্পের ছলে ওই লোকেরা হাতসাফাই করে চলে গিয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগডোগরা থানার পুলিস। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তে নামেন অফিসাররা। স্থানীয় দোকানদার মনোজ ঘোষ বলেন, আমি দোকানেই ছিলাম। সেই সময় ওই ব্যক্তিদের মধ্যে থাকা একজন এসে আমাকে বিভিন্ন এলাকার ঠিকানা জানাতে চায়। আমি কোন দিক দিয়ে যেতে হবে জানাই। বাইরের রাজ্যের মনে হচ্ছিল, কারণ হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল।
আশুতোষবাবু বলেন, আমি বয়স্ক। অন্যদিনের মতো এদিনও চেয়ার নিয়ে রোদে বসেছিলাম। পুলিস পরিচয় দেওয়ায় সন্দেহ হয়নি। সচেতন করছে ভেবে গলার চেন, আংটি খুলে ফেলি। ওরা চলে যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম লোকগুলি হাতসাফাই করেছে। বাগডোগরা থানার পুলিস জানিয়েছে, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।