সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: সরকারি ঘরের টাকা পেয়েছে বাবা। নেশা করার জন্য সেই টাকার দাবি ছেলের। বাবা দিতে অস্বীকার করায় জুটল মার। এমনভাবে মেরে জখম করা হয়েছে যে বৃদ্ধের ডান হাতের চামড়া অনেকটা অংশ উঠে এসেছে। সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধ অবশেষে ভাইপোর বাড়িতে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে রবিবার দুপুরে ময়নাগুড়ি থানায় ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ। চরম অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে ময়নাগুড়ির বোলবাড়িতে। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
বৃদ্ধ সীতারাম রবিদাস বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সম্প্রতি টাকা পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ছেলে নেশা করে। প্রায়ই টাকা নিয়ে যায়। এবার ওর চোখ পড়েছে ঘর বানানোর টাকায়। এদিন সকালে ফের টাকা চাইতে আসে। প্রতিবাদ করলে ছেলে হরিলাল কঞ্চি দিয়ে মারে। এতে কনুইয়ের নীচের অংশের চামড়া উঠে এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে হরিলালকে ফোন করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, বাবার বয়স হয়েছে। আমি বাবার হাত ধরে টানতেই চামড়া উঠে যায়। কেন থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করল জানি না। ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিকে, সীতারাম রবিদাসের ভাইপো রামানন্দ বলেন, জেঠু আমাদের বাড়িতে না এলে হয়তো মেরেই ফেলত। ওঁর ছেলে প্রায়ই মারধর করে। নেশার জন্য টাকা না পেলেই অশান্তি করে। জখম বৃদ্ধ বলেন, মাসখানেক আগে ঘরের টাকা পেয়েছি। ওই টাকার লোভ ছেলে সামলাতে পারছে না। ওকে বহুবার বুঝিয়েছি টাকাটা সরকার দিয়েছে ঘর বানাতে। কিন্তু কোনও কথাই শুনছে না। মঝেমধ্যে পাঁচশো টাকা নিয়ে যায়। নেশার জন্য টাকা না দিলেই মারধর করে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।