বালুরঘাটে জামাইয়ের বিরুদ্ধে নাবালিকা শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ শাশুড়ির
বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পতিরাম: ১৪ বছরের নাবালিকা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। অভিযোগ, জামাইবাবু খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাতের পর রাত ধর্ষণ করেছে নাবালিকাকে। হরিয়ানায় দিদির বাড়িতে নাবালিকাটি ধর্ষিত হয়। সেখান থেকে বালুরঘাটে ফিরে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সামনে আসে। নাবালিকাটি অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে শনিবার রাতে তার বাড়িতে পৌঁছয় জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্র, চাইল্ড হেল্প লাইন ও বালুরঘাট থানার পুলিস। জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার পালিতা মা। বালুরঘাট সদর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, শিশু অবস্থাতেই নাবালিকাটি তার জন্মদাত্রীকে হারিয়েছিল। বালুরঘাটের এক মহিলার বাড়িতে নাবালিকাটি বড় হয়ে ওঠে। ওই মহিলার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে হরিয়ানায়। মহিলাটি বালুরঘাট শহরে পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়িতে ওই নাবালিকাকে দেখার কেউ নেই। তাই মেয়ে ও জামাইয়ের বাড়িতে নাবালিকাকে পাঠিয়ে দেন মহিলাটি। অভিযোগ, ঘুমানোর আগে ওই নাবালিকার খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো হতো। সেই খাবার খেয়ে প্রায় দিন অজ্ঞান হয়ে পড়তো ওই নাবালিকা। এরপর রাতে জামাইবাবু এসে ধর্ষণ করত। ভয়ে কিছু বলতে পারেনি নাবালিকা। পরে নাবালিকা বালুরঘাটে চলে আসে। মাস দুয়েক আগে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলেও কেউ টের পায়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানতে পারেন, নাবালিকাটি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, বিষয়টি জেনেও ওই নাবালিকার পালিতা মা তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি। স্থানীয়রা এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর পায় চাইল্ড হেল্প লাইন ও আইনি সহায়তা কেন্দ্র। তারা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছয়। তাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবং চিকিত্সা চলছে। অভিযুক্তর বাড়ি হরিয়ানার ইশাহার থানার কুলেরি গ্রামে।