সংবাদদাতা, কালিয়াচক: আগুনে ভস্মীভূত হল কালিয়াচকের সুজাপুরে প্লাস্টিকের ছ’টি গোডাউন। দাহ্য পদার্থ থাকায় সবগুলি গোডাউনই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট মালিকরা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে প্রথমে একটি গোডাউনে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন আশপাশের গোডাউনগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিস এবং দমকলে। পাশাপাশি স্থানীয়রাই হাত লাগান আগুন নেভানোর কাজে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ফেলে পুরো এলাকাকে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় এলাকা। কালিয়াচক থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দমকলে খবর দিলেও তারা প্রায় দু’ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিকুল শেখ বলেন, এদিন ভোর রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। বাইরে বের হতেই দেখি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন লেগেছে। সেই আগুন দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত বাসিন্দাদের ঘুম থেকে তুলে দমকলের ভরসায় না থেকে নিজেদের বাড়ি থেকে বালতি ও ড্রাম নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। হাবিব খান, সাকিরুল আনিকুল হক ও আজম শেখ সহ ছ’জনের প্লাস্টিকের গোডাউন পুড়ে গিয়েছে। সময়মতো দমকল আসেনি। কিছুদিন আগেও কালিয়াচকে একটি খেলনার দোকানে আগুন লেগে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেই।
প্লাস্টিকের গোডাউনের মালিক হাবিব খান ও সাকিরুল শেখরা বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারব না। তবে সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। দমকলের ইঞ্জিন সময়মতো এলে এত ক্ষতি হতো না। মালদহের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার স্বপন দাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।