• মাঘী পূর্ণিমায় নজিরবিহীন ব্যবস্থা, সাগরে চলবে লাগাতার নজরদারি
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাঘী পূর্ণিমায় পুণ্যার্থীদের ঢল নামার সম্ভাবনা গঙ্গাসাগরে। সে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার বেনজির ব্যবস্থা গ্রহণ করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অন্যান্য বছর দেখা গিয়েছিল, যাত্রীদের থাকার জন্য প্রশাসন কোনও ছাউনি বানিয়ে দিত না। নদী পারাপারের জন্য বার্জও (জলযান) রাখত না। এবার সে সব থাকছে। নিরাপত্তায় অতিরিক্ত জোর দিতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিসের সংখ্যাও।


    প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, কয়েকদিন আগে দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কুম্ভে। এখানে সেরকম পরিস্থিতি আটকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বৃদ্ধি হচ্ছে। বুধবার মাঘী পূর্ণিমার পুণ্য স্নান। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তার জন্য জেলা এবং ব্লক স্তরে একাধিক বৈঠক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এবার প্রায় ৭০০ শৌচালয় থাকবে। মন্দির ও আশপাশ চত্বরে নজরদারি চালাতে প্রায় ১৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। গঙ্গাসাগর মেলার মতো কন্ট্রোল রুম হবে। তবে তা আকারে হবে অপেক্ষাকৃত ছোট। মাঘী পূর্ণিমার দিন একশোর মতো সরকারি আধিকারিক বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন। ছ’টি ‘পিলগ্রিম শেড’ করা হচ্ছে। সেগুলি দুই, চার, পাঁচ নম্বর বিচের ধারে এবং কচুবেড়িয়া ও বেনুবনে তৈরি হবে। এছাড়াও কচুবেড়িয়া, লট এইট এবং গঙ্গাসাগর মিলিয়ে ছ’টি স্পিড বোট থাকবে। প্রস্তুত থাকবেন ডুবুরি। কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য চল্লিশটি বাস রাখা হবে। তীর্থযাত্রীদের এপারে আনার জন্য থাকবে দু’টি বার্জ এবং ১২টি ভেসেল। তিনটি করে জেটি দিয়ে তীর্থযাত্রীদের পারাপার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। অন্যান্যবার একটি দিয়েই কাজ সামলানো হতো। সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘গত বছর মাঘী পূর্ণিমার সময় প্রায় ৮০০ পুলিস ছিলেন। এবছর পূণ্যার্থী সংখ্যা বাড়তে পারে ধরে নিয়ে, রাখা হবে এক হাজার পুলিস। মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে গতবছরের মতো এবারও অন্যান্য সব ব্যবস্থা থাকবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)