• এবার মেটিয়াবুরুজে হেলে যাওয়া বাড়ির সন্ধান মিলল
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচুর বাজারে এবার একটি বহুতল বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ায় শোরগোল। কলকাতা শহর ও শহরতলিতে এমন ঘটনার পর সংযোজন হল মহেশতলা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘিঞ্জি পাঁচুর বাজারের বহুতলটি। সেটি পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি পুকুর ভরাট করে সেই নির্মাণ হয়েছে। এই জমির মালিক বিগতদিনের ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলারের শ্বশুর। অভিযোগ, প্রোমোটার ওই কাউন্সিলারের প্রশয় পেয়ে এই দুঃসাহসিক কাজ করেছেন। চারতলা সমান উঁচু বহুতলটি এমনভাব হেলে গিয়েছে যে, পাশের আর একটি বহুতলের সঙ্গে তার দূরত্ব একহাতেরও কম। উপরের দিকে এটা বিশেষভাবে নজরে আসছে। বাড়িটিতে একাধিক পরিবার রয়েছে। নীচে দোকান। বাড়িটি এইভাবে হেলে থাকার জন্য যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পড়শিরা। রবিবার ঘটনাস্হলে গেলে সে কথাই জানালেন তাঁরা। 


    মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কলকাতা জুড়ে এখন এই বেআইনি নির্মাণ চলছে, এখানেও সেই কাজ হচ্ছে। চার থেকে পাঁচদিন আগে বিষয়টি নজরে আসে। বিল্ডিং বিভাগ থেকে লোকজন গিয়ে দেখে এসে নোটিস দিয়েছে। পুরো বেআইনি নির্মাণ। বলা হয়েছে, ওই বাড়ি ভেঙে ফেলতে। নাহলে পুরসভা আইনি পথে ভেঙে ফেলবে। রবীন্দ্রনগর থানার পুলিস গিয়ে মাপ নিয়ে এসেছে।


    এদিকে, ওই নির্মাণ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। দলের মেটিয়াবুরুজ ২ ব্লকের সভাপতি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। তাঁর অভিযোগ, আমাদের দলের একটি লবির সঙ্গে ওই প্রোমোটারের দহরম-মহরম আছে। সেই কারণেই এমন বেআইনি কর্মকাণ্ড হয়েছে। আমি চাই অভিযুক্ত প্রোমোটার ও মদতকারীদের শাস্তি হোক।


    একই কথা বলেছেন মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তাপস হালদার। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে পুরসভা এগচ্ছে।  ১১ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল-এর বৈঠক ডাকা হয়েছে।


    এদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পরিবারের মাথা তথা মেটিয়াবুরুজ দুই এর সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার থান্ডার বলেন, এই বাড়ি তৈরি হয় ২০১১ এবং ২০১২-এর ভিতর। সেই সময় এখানে কংগ্রেস কাউন্সিলার ছিলেন। পরে আমার বাবা তৃণমূল থেকে কাউন্সিলার হন। তার আগেই পুকুর ভরাট করে নির্মাণ হয়েছে। এখানে আরও এমন হেলে পড়া বাড়ি আছে। পুরসভা চাইলে তালিকা দিয়ে দেব। আমরাও চাই, প্রশাসন এর বিহিত করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)