পার্ক সার্কাসের নামী রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগে ধৃত দুই কর্মী
বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পার্ক সার্কাস এলাকার এক নামি রেস্তরাঁ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে দুই কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। সেখানে কর্মরত কয়েকজন ওই দুই কর্মীকে রেস্তরাঁর একটি ঘরে আটকে রেখে যখন মারধর করছিলেন, তখন অন্যরা তা ভিডিও করেন। এরপর বেনিয়াপুকুর থানার হাতে ওই দুই কর্মীকে তুলে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রসেনজিৎ মাইতি ও শেখ গুলাম নবি আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে বেনিয়াপুকুর থানা। কিন্তু ওই রেস্তঁরার লোকজন কীভাবে নিজেদের হাতে আইন তুলে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ এই রেস্তরাঁয় ওয়েটার হিসেবে কাজ করে। গুলাম দু’মাস আগে ক্যাশিয়ার পদে যোগ দিয়েছিল। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, এই দুই কর্মী হোটেলে আসা কাস্টমারদের পেমেন্ট নিজেদের ই-ওয়ালেটে ট্রান্সফার করত। যে কারণে লোকসান হচ্ছিল ওই রেস্তরাঁর। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রসেনজিৎ বেপাত্তা হয়ে যায়। গুলামকে টোপ দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেছেন, বিষয়টি জানার পর রেস্তরাঁর কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বেনিয়াপুকুর থানায়। তারপর দুই কর্মীকে রেস্তরাঁর মধ্যেই বেধড়ক মারধর করেন কয়েকজন কর্মী। এই ঘটনায় তাঁর মক্কেল আহত হয়। মারধরের পর প্রসেনজিৎ ও গুলামকে আনা হয় থানায়। সেখানে প্রথমে আপসে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় রেস্তরাঁর তরফে লিখিত অভিযোগ করা হলে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। ধৃতরা পুলিসকে জানিয়েছে, তারা এক লক্ষ টাকা সরিয়েছে। এই টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে। কোম্পানির ই-ওয়ালেট অ্যাড্রেস না দিয়ে তারা নিজেদের ওয়ালেটের নম্বর দিত। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে রেস্তরাঁর কর্মীরা কীভাবে দু’জনকে মারধর করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।