• মাধ্যমিকের আগের দিন তারস্বরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান, ধমক দিলেন বিধায়ক
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: দলের তরফে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন উঁচু আওয়াজে মাইক বাজিয়ে চলছিল সেই পর্ব। অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উদ্যোক্তাদের রীতিমতো ধমক দিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। সঙ্গে সঙ্গে মাইকের চোঙ খুলে নামানো হলো নীচে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের সাপুইপাড়া এলাকায়। বিধায়কের এই তৎপরতায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। 


    ডোমজুড়ের সাপুইপাড়া বসুকাঠি তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এদিন স্থানীয় পল্লিমঙ্গল সমিতির মাঠে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই তারস্বরে বাজানো হচ্ছিল মাইক। এমন শব্দে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ারা। এই রক্তদান অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। রক্তদান উপলক্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন মাইক বাজানো হচ্ছে শুনেই অনুষ্ঠানস্থলে দ্রুত যান তিনি। উদ্যোক্তাদের ডেকে সাফ নির্দেশ দেন, প্রত্যেকটি মাইক খুলে নীচে নামাতে হবে। রীতিমতো ধমক দিয়ে উদ্যোক্তাদের বলেন, কয়েক মিনিটের মধ্যে মাইক বন্ধ করে সেগুলো না খোলা হলে মঞ্চে উঠবেন না তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন কেন এত জোরে মাইক বাজানো হচ্ছে, তাও জানতে চান তিনি। বিধায়কের বকুনি খেতেই তড়িঘড়ি মাইক খোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে। শেষমেষ মাইক বাজানো বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় রক্তদান অনুষ্ঠান। বিধায়কের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন উদ্যোক্তারা। 


    কেন পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানো উচিত নয় এবং তা করা হলে আইনত কী কী শাস্তি রয়েছে, আয়োজকদের তার পাঠ শেখান বিধায়ক। কল্যাণবাবু বলেন, দলনেত্রীর নির্দেশে দলে শৃঙ্খলা সবার আগে। রক্তদান অনুষ্ঠান অবশ্যই হোক। আগে থেকেই বলা হয়েছিল ছোট সাউন্ড বক্স ভাড়া করে শুধু অনুষ্ঠানস্থলে নিচু আওয়াজে বাজানো যেতে পারে। কিন্তু মাইকের ব্যবহার একেবারেই নয়। আইন মানতে হবে।- নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)