• মাধ্যমিকের ২৪ ঘণ্টা আগে জনতার মার্কশিটে স্টার মার্কস পেল বইমেলা
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিনের প্রশ্নপত্রে রয়েছে বাংলা ভাষা। কিন্তু জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা আগে জনতার মার্কশিটে ‘স্টারমার্কস’ পেল কলকাতা বইমেলা। স্টল, সাজগোজ, বইয়ের ভাণ্ডার, পরিবেশ, নিরাপত্তা, পরিবহণ, খাবার—সব বিষয়ের প্রশ্নপত্রে বইমেলাকে ‘ফুল মার্কস’ দিলেন বইপ্রেমীরা।


    জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক নিয়ে কৌতূহল, ভয়, আশা-আশঙ্কা অনেক কিছুই থাকে। মাধ্যমিকে ভালো ফল করতে পারলে উচ্চশিক্ষার গণ্ডিতে সসম্মানে পাড়ি দেওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হয়। ফলে সকল পড়ুয়ারাই চান, মাধ্যমিকে খুব ভালো ফল করতে। বিশেষ করে চায় কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস আর নজর থাকে স্টার মার্কসের জন্য। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ পড়েছিল বইপ্রেমীদের প্রশ্নপত্রের সামনে। তাতে বইপ্রেমীদের উত্তরে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড এবং সহযোগীরা পুরসভা, পুলিস, দমকল, পরিবহণ, স্বাস্থ্য প্রভৃতি দপ্তর সাফল্যের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হয়েছে। 


    বইমেলার শেষদিন, রবিবার আম জনতার কাছে প্রশ্ন ছিল, বইমেলার স্টল,  সাজগোজ এবং বইয়ের ভাণ্ডার কেমন হয়েছে। তাতে কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা রজত রায়ের উত্তর, এক কথায় অনবদ্য। দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, বইমেলায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল? বরানগরের বাসিন্দা শোভা সরকার উত্তর দিলেন, একটি পকেটমারির ঘটনাও তো ঘটেনি। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই।


    পরিবেশ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যে খুব ভালোভাবে হয়েছে, তা মেলায় যাঁরা গিয়েছে, তাঁরা হাতে-নাতে টের পেয়েছেন। ধুলো নামক বস্তুটি প্রায় ৯০ শতাংশ উধাও। যেটুকু ধুলো হচ্ছে তাতে প্রয়োজন বোধে জল দেওয়ার কাজও চলেছে। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা নীলাঞ্জনা রায় বললেন, কোনও কাগজের টুকরো পড়ে থাকতে দেখলেই সাফাই কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই তা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা খুব ভালো বিষয়।


    বইমেলায় আসা-যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া ট্রেন, মেট্রো, অটো সবক্ষেত্রেই ব্যবস্থা যে খুব ভালো ছিল, তা জানিয়েছেন বীরভূমের বাসিন্দা সুকুমার হাঁসদা। অন্যদিকে, বইমেলার এক প্রান্তে খাবারের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিষয়টিও সকলের ভালো লেগেছে। বইপ্রেমীরা এজন্য ‘গুড’ সার্টিফিকেটই দিয়েছেন আয়োজকদের।


    তবে বইপ্রেমীদের তরফে কয়েকটি দাবিও উঠে এসেছে। যেমন—আগামী বছর থেকে পরিস্রুত পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যেন করা হয়। মেলার বিভিন্ন প্রাঙ্গণে জলের স্টল করে সেখান থেকে বোতল বা পাউচ দেওয়া হোক। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখতে প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য গল্ফ কার্টও থাকুক। আর মেলার দিন সংখ্যা বাড়িয়ে করা হোক কমপক্ষে ১৫ দিন।
  • Link to this news (বর্তমান)