এই সময়: জমি দখল রুখতে এবং সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস এলাকায় পথের দু’পাশে লোহার রেলিং বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সায়েন্স সিটি লাগোয়া বিআর আম্বেদকর সেতু থেকে শুরু করে রুবি মোড় পর্যন্ত বাইপাস বরাবর লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।
সে জন্যে সম্প্রতি টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয় রেস্তোরাঁ ও বারের মালিকরা। তাঁদের আশঙ্কা, রেলিং দেওয়া হলে বাইপাসে গাড়ি থেকে নেমে বার–রেস্তোরাঁয় ঢুকতে অনেকেই অসুবিধায় পড়বেন। তাঁদের অনেকটা ঘুরে আসতে হবে। মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন কাস্টমাররা।
বিআর আম্বেদকর সেতু থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত বাইপাসের দু’ধারে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য বার ও রেস্তোরাঁ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বিকেলের পর থেকে এই সব বার ও রেস্তোরাঁ ভিড়ে গমগম করে। বিনোদনের ঠিকানা হিসেবে এই জায়গা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। পার্ক স্ট্রিটের সঙ্গে অনেকটা সাদৃশ্য থাকায় কেউ কেউ একে ‘মিনি পার্ক স্ট্রিট’ বলেও অভিহিত করেন।
স্থানীয় বার ও রেস্তোরাঁ মালিকদের আশঙ্কা, রাস্তার ধার বরাবর রেলিং বসলে এই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়বে। এক বার–মালিক বলেন, ‘আমরা সরকারকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি। প্রত্যেকটা বার ও রেস্তোরাঁয় গড়ে ২০–২৫ জন বেকার ছেলেমেয়ে কাজ করেন।
কিন্তু প্রশাসনের তরফে আমরা কোনও সহযোগিতা পাচ্ছি না। যাঁরা বার–রেস্তোরাঁয় খেতে আসছেন গাড়ি পার্কিং করতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। রাস্তা ও ফুটপাথ খুঁড়ে দিনের পর দিন কাজ চলছে। মেট্রোর কাজের জন্যেও যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তার উপরে আবার যদি রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় তা হলে সমস্যা বাড়বে। খদ্দেররা যাতে ঢুকতে পারেন, অন্তত সেই ব্যবস্থাটা রাখা হোক।’
১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, ইএম বাইপাসের ধারে প্রচুর সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। সেগুলি এক–এক করে দখল হয়ে যাচ্ছে। সে জন্যেই রেলিং দিতে হচ্ছে।