• শংসাপত্র নিতে গরহাজির, সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে মাথাব্যথা বিজেপির
    এই সময় | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কোচবিহার ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এ বার দলের সক্রিয় সদস্য হয়েও নিষ্ক্রিয় থাকার ঘটনা সামনে এল। বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় ১ হাজার ৬০০ জন সক্রিয় সদস্য হয়েছেন। এই সক্রিয় সদস্যরাই আগামী দিনে জেলা নেতৃত্বে থাকবেন।

    সেই সক্রিয় সদস্যদের শংসাপত্র নেওয়ার জন্য রবিবার দলের জেলা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। আর সেখানে ৩৫০ সক্রিয় সদস্য অনুপস্থিত থাকলেন। এর ফলে একদা নিজেদের শক্ত জমিতে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক দুর্বলতা আরও প্রকট হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা এক নেতা বলেন, ‘দিনহাটা ও সিতাই থেকে অনেকেই আসেননি।’ এর পিছনে শাসক দলের ভয়-ভীতি দেখানো এবং সন্ত্রাসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

    কোচবিহারে বিজেপির ৪৩টি মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে আগেই সংশয় ছিল। কারণ সক্রিয় সদস্য যতটা প্রয়োজন ছিল ততটা হয়নি। এ পর্যন্ত তারা ৩২টি মণ্ডল কমিটি গঠনের জন্য সক্রিয় সদস্য জোগাড় করতে পেরেছে। বাকিগুলো কতটা কী হবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বিজেপির জেলা নেতারা।

    গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো যে ১ হাজার ৬০০ জন সক্রিয় সদস্য হয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকেই এখন সামনে আসতে চাইছেন না। রবিবার দলের জেলা কার্যালয়ে সমস্ত বিধানসভা এলাকার সক্রিয় সদস্যদের ডাকা হলেও দিনহাটা, সিতাই এবং শীতলখুচি বিধানসভা এলাকা থেকে সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে অনেকেই এড়িয়ে গিয়েছেন।

    পরিস্থিতি যা, তাতে এই তিন বিধানসভায় সব মণ্ডল কমিটি গঠন করা নিয়ে ঘোরতর সংশয় রয়েছে। দিনহাটা বিধানসভা এলাকায় ১১২ জন সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন। তার মধ্যে এদিন মাত্র ৫০ জন হাজির ছিলেন। সিতাই বিধানসভা এলাকায় ১৭৫ জনের মধ্যে মাত্র ৮০ জন ছিলেন।

    এই সক্রিয় সদস্যদের না আসা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা আরও বেশি করে সামনে এসেছে।

    দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় অবশ্য বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এদিন সক্রিয় সদস্যরা এসেছিলেন। দিল্লি জয়ের জন্য শহর একটি বিজয় মিছিল হয়েছে। দিনহাটা,সিতাইতে সক্রিয় সদস্য এমনিতেই কিছুটা কম হয়েছে। বাকি জায়গায় সব ঠিকই রয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)