এই সময়, হাড়োয়া: বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল এলাকায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। হাড়োয়া বিধানসভার গোপালপুর ১ এবং ২ নম্বর এলাকায় রবিবার সকালে একাধিক পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়।
কে বা কারা এই কাজ করেছেন, তা জানা না–গেলেও প্রতিটি পোস্টারের নীচে লেখা যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মিবৃন্দ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, হাড়োয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এ ধরনের পোস্টার পড়েছে। অর্থের বাটোয়ারা নিয়েই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপর গোষ্ঠীর লোকজন এমন পোস্টার লাগিয়েছে। যদিও বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিধায়ক তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বেশ কয়েকবার হাড়োয়া তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে। হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম সদ্য হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ার ঘটনা এই প্রথম। রবিবার হাড়োয়া বিধানসভার গোপালপুর এলাকায় রাস্তার ধারে বাতিস্তম্ভের গায়ে বিধায়ককে বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। তা প্রকাশ্যে আসতেই দলীয় কর্মীরা সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে।
বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘মেছোভেড়ির কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বিধায়ক জবাব দাও।’ আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ‘মন্ত্রী সুজিত বসুর নিদের্শে ভেড়ি, দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা তোলা হচ্ছে কেন, বিধায়ক জবাব দাও।’
বিষয়টি নিয়ে বসিরহাটের বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, ‘রাজ্য জুড়ে এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। হাড়োয়া এলাকায় শাসক দলের নেতারা কী ভাবে টাকা তুলছেন, তা প্রকাশ পাচ্ছে এই পোস্টারের বক্তব্যে। আসলে এটা তৃণমূলের অন্দরে টাকার ভাগ–বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই।’ তবে যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে, সেই রবিউল ইসলামের বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে কে বা কারা এই পোস্টার মেরেছেন, বলতে পারব না। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’