• রবিবার রাতেই অপারেশন, হাসপাতালের বেডে শুয়েই সুলতানার মাধ্যমিক দেওয়ার ব্যবস্থা বিধায়কের
    এই সময় | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মেদিনীপুর কলেজিয়েট বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুলতানা খাতুন। অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মতোই সে গত এক মাস ধরে দিন-রাত মুখ গুঁজেছিল বইয়ের পাতায়। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় পরীক্ষার ঠিক আগের দিন।

    রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করে সে। মেয়েকে দ্রুত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকরা জানান, দ্রুত অপারেশন করতে হবে। এ দিকে রাত পোহালেই মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সব মিলিয়ে চিন্তায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের মাথায়। কিন্তু মেয়ের জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এ দিকে নাছোড়বান্দা সুলতানাও। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ একটু সুস্থবোধ করতেই সে বাড়ির সদস্যদের জানায়, সে পরীক্ষা দিতে চায়। কিন্তু, কী ভাবে সেই আয়োজন করা সম্ভব হবে? তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে কূলকিনার পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।

    সেই সময়েই ‘মুশকিল আসান’ হয় মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা-র একটি ফেসবুক পোস্টে!

    রবিবার রাতে সুজয় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য একটি নম্বর দিয়েছিলেন। তাতেই ফোন করেন সুলতানার দাদা। সুলতানাদের বাড়িও বিধায়ক সুজয় হাজরার মিঞাবাজারের বাড়ির অদূরেই তালমাল বস্তিতে। বিধায়ক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সমস্যার কথা জানার পরে হাসপাতালে বসে তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

    তিনি সুলতানার অ্যাডমিট কার্ড পাঠান পর্ষদের আঞ্চলিক দপ্তর, পর্ষদের মনিটরিং কমিটির জেলা আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা এবং সুলতানার স্কুল ও পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকাদের। এরপর নির্ধারিত সময়ে সমস্ত অনুমতি নিয়ে হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন সুলতানা। বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, ‘ওর লড়াকু মানসিকতাকে কুর্নিশ।’ সুলতানার পরিবারও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিধায়ককে।

  • Link to this news (এই সময়)