তপন দেব: চা-শিল্পের ভবিষ্যতে কালো মেঘের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন চা-বাগানের মালিক সংগঠন। আলিপুরদুয়ারের চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত চা-বাগান মালিক সংগঠনের নেতৃত্ব। সত্যিই কি উদ্বেগজনক অবস্থা চা-শিল্পের? কতটা উদ্বেগজনক? কতটা কালো এর ভবিষ্যৎ?
আসলে দেশের বাজারে চায়ের দাম নিম্নমুখী। 'অকশনে'ও ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত বিদেশের বাজার থেকেই প্রচুর পরিমাণ চা ঢুকছে খোলা বাজারে। যার গুণগত মান না থাকলেও যা দামে কম হওয়ায় ক্রেতারা সেগুলিই কিনছেন। এছাড়াও ভারতীয় চা বিদেশে পাঠাতে গেলে কর দিতে হচ্ছে ভারত সরকারকে। অথচ বিদেশ থেকে ভারতে চা এলে তাদের কোনও কর দিতে হয় না!
অন্য দিকে, অসংগঠিত ক্ষুদ্র চা-বাগানগুলি থেকে প্রচুর চা উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু সংগঠিত চা-বাগানগুলির মতো দায়ভার তাদের না থাকায় খরচ অনেক কম হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত চা কম দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে সংগঠিত চা-শিল্পের উপর ক্রমাগত চাপ পড়ছে। বাজারে কঠিন লড়াই করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। টি বোর্ডকে এসব বিষয় জানিয়েও কিছু কাজ হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
উত্তরের তরাই-ডুয়ার্স-সহ ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত এই চা-শিল্পের সঙ্গে। দেশের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং টি বোর্ড কী ধরনের পদক্ষেপ করে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে বাগান মালিকেরা।