জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: দিল্লিতে শোচনীয় ফল করেছে আম আদমি পার্টি। প্রায় ২৭ বছর পরে দিল্লিতে বিজেপিকে ফিরিয়েছে জনতা। বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে এবার বড় আঘাত হেনেছে গেরুয়া শিবির। এনিয়ে এবার কংগ্রেসকেই দায়ি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস-আপ সংঘাতের ফলেই দিল্লিতে ভেঙ্গে পড়েছে আপের ঘর। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে আপকে সাহায্য করেনি কংগ্রেস। পাশাপাশি হরিয়ানাতেও আপকে সাহায্য করেনি কংগ্রেস। একসঙ্গে থাকলে এরকম ফল হত না।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, যেখানে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী সেখানে তাকে অন্যদের সমর্থন করতে হবে। কংগ্রেস সেই কথা একেবারেই মাননি দিল্লিতে। হরিয়ানাতেও একই কাজ করেছে। এভাবেই তারা সপা-কে ডুবিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। দিল্লিতে এক ডজনেরও বেশি এমন আসন রয়েছে যেখানে কংগ্রেস যদি ভোট না কাটলে আপ পাস করে যেত। খোদ কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তাকে ডুবিয়েছেন কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিত।
আগামী বছরই রাজ্য বিধানসভা ভোট রয়েছে। বিজেপি বারবারই বলে আসছে ২০২৬ এর ভোটেই মমতা শেষ। কিছু দিন আগে খোদ অমিত শাহ রাজ্যে এসে বলে গিয়েছিলেন, এবারেই শেষ মমতা। দিল্লি ভোটের পর বাংলা সম্পর্কে বিজেপির আশা আরও বাড়েছে। কিন্তু বিজেপি যাই বলুক, অতীতের পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে আরও শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার মমতা তাঁর বক্তব্যে পরক্ষে বিজেপিকেই নিশানা করেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় কাউকে দরকার পড়বে না। ২০২৬ সালে বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় ফিরব।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে জেতার পর বিজেপির তরফ থেকে বলা শুরু হয়েছে দিল্লিতে যেভাবে আপ বিদায় নিয়েছে সেইভাবেই বাংলার মানুষ মুছে দেবে তৃণমূলকে। এনিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, দিল্লির সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই। দিল্লির প্রভাব বাংলায় পড়বে না। ২০২৬ সালে আড়াইশোরও বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।