কৃষ্ণকুমার দাস: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে বারবার আদালতে দাবি করেছিল ইডি। তাঁকে ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’ বলেও তুলনা করা হয়েছিল। তবে একবছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে জেলে বন্দি রাখার পরও জামিন আটকাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি বছরের প্রথমেই জামিনে মুক্ত হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপরই দলে তাঁর গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছিল। একাধিক দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাবড়ার বিধায়ক। তারপর এই প্রথম তাঁর বিধানসভা অধিবেশনে অংশগ্রহণ। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের ঠিক আগে পরিষদীয় দলের বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে কার্যত গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”বালুকে অন্যায়ভাবে আটকানো হয়েছিল। ওর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।”
রবিবার রেশন বণ্টন মামলায় জামিন পাওয়ার পরই রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিধানসভায় তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেট অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেজারি বেঞ্চের পাশে অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ আসনে থাকবেন তিনি। এসবের পর রবিবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে হাতছাড়া হওয়া হাবড়ার রাশ টানতে ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। জামিনের পর প্রথমবার সেখানে বিশাল মিছিল হয় তাঁর নেতৃত্বে। বলেছিলেন, “হাবড়ার উন্নয়ই এখন আমার কাছে পাখির চোখ। আমরা মিছিল-মিটিং সব করব, কিন্তু সবার আগে উন্নয়ন করতে হবে।”
আর সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগে পরিষদীয় বৈঠকে সেই জ্যোতিপ্রিয়রই দরাজ প্রশংসা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। গর্জে উঠলেন তাঁর গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধেও। মমতার সাফ কথা, ”বালুকে অন্যায়ভাবে আটকানো হয়েছিল। ওর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।” এর আগে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারিতেও একইভাবে সরব হতে দেখা গিয়েছিল দলনেত্রীকে। এবার তিনি দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়েও প্রতিবাদ জানালেন।