বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কে আসছেন? এবার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে নাম
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সদ্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। তাই সেই জয় থেকে অক্সিজেন পেয়ে এবার নতুন সভাপতির নাম প্রকাশ্যে আনতে চায় বিজেপি। এই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেই একদা হার দিয়ে দলের সভাপতির ইনিংস শুরু করেছিলেন জেপি নড্ডা। তার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। এবার দিল্লিতে দলকে জিতিয়ে সভাপতি হিসাবে নিজের ইনিংস শেষ করতে চলেছেন এখনকার সর্বভারতীয় সভাপতি। আর তাই সময় নষ্ট না করে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই সেরে ফেলতে চায় পদ্মশিবির। আগামী একমাসের মধ্যে দলের নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নিতে চায় কেন্দ্রীয় নেতারাও। কিন্তু কে হবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। জেপি নড্ডার থেকে কে দায়িত্ব নেবেন সেটা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি সভাপতি হতে পারে এমন একাধিক নাম রয়েছে। জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষকে করতে পারে বলে সূত্রের খবর। কর্নাটকে বিজেপির ক্ষমতায় আসার নেপথ্য কারিগর তিনিই। আবার আরএসএসের প্রচারকও ছিলেন বহুদিন। বিএল সন্তোষ নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। তাই এই নামটি এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে বেশি চর্চিত হচ্ছে। এমনকী বিস্তর গুঞ্জনও তৈরি হয়েছে। বেঙ্কাইয়া নাইডুর পরে দক্ষিণ থেকে আর কোনও নেতা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হননি। এটা হলে বিজেপি দক্ষিণে প্রভাব বাড়াতে পারবে। তবে নতুন বিজেপি সভাপতির প্রথম বড় পরীক্ষা হবে চলতি বছরের বিহার বিধানসভা নির্বাচন।
আবার আর একটি সূত্র বলছে, তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েও চর্চা চলছে দলের অন্দরে। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল। তিনি আরএসএস ঘনিষ্ঠ এবং জনজাতি সম্প্রদায়ের। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। দক্ষ সংগঠক এবং আরএসএসের প্রচারক হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও কাজ করেছেন। আর শিবরাজ সিং চৌহান মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরএসএস ঘনিষ্ঠ। সুতরাং কাকে করা হবে সেটা নিয়ে গুঞ্জন রয়েই গিয়েছে। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতারা সর্বানন্দ সোনোওয়ালকেই এগিয়ে রাখছেন।
যদিও বাংলায় কে রাজ্য সভাপতি হবেন সেটা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য নেই। কিন্তু তার মধ্যে দুই জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল এবং বিনোদ তাউড়ের নাম উঠতে শুরু করেছে। এঁরা দু’জনেও অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। সুনীল বনসল আছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে। আর বিনোদ তাউড়ে বিহারের দায়িত্বে। যদিও বিনোদ তাউড়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে। দক্ষ সংগঠক ভূপেন্দ্র যাদব হলেও তিনি হচ্ছেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ হলেও তাঁকে এই পদে আসীন করা হবে না।