• পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরতেই বাজল মোবাইল...তার পরেই দেহ উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
    এই সময় | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা দিয়ে এসে বাড়িতে ভালো পরীক্ষা হয়েছে বলেই জানিয়েছিল কিশোরী। তারপরেই একটি ফোন আসে, কথা বলতে বলতে নিজের ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। সেই তরুণ দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত করছিল, হুমকি দিচ্ছিল। সোমবারও পরীক্ষার পরে তারই ফোন আসে, ওই ফোনের পরেই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ মেলে ঘর থেকে।

    ওই নাবালিকার দিদার অভিযোগ স্থানীয় এক তরুণের দিকে। তিনি বলেছেন, ‘৩-৪ বছরের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার জন্য চাপ দিত। নাতনিকে হুমকি দিত। মারধর করবে, পা ভেঙে দেবে বলত।’ সোমবার ঠিক কী হয়েছিল? নিহত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দিদার অভিযোগ, ‘আজ পরীক্ষার পরে এসে আমার সঙ্গে কথা বলছিল। তখনই ফোন এল। আমার নাতনি বলছিল, এখন পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষ হোক তারপর ফোন করবে, এটা বলতে বলতে নাতনি ঘরে চলে গেল।’ তারপরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই কিশোরীকে, জানিয়েছে পরিবারের লোক। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে কিশোরীকে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

    ওই কিশোরীর মা মারা গিয়েছেন। আসল বাড়ি দত্তপুকুরে হলেও মা মারা যাওয়ার পরে থেকে মামাবাড়িতে দিদার সঙ্গে থেকেই পড়াশোনা করত ওই কিশোরী। গুমায় ছিল মামাবাড়ি। সেখানেই স্থানীয় এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পরিবারের দাবি, নিত্যদিন ফোন করে হুমকি দিত অভিযুক্ত তরুণ। পরিবারের ধারণা বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ার মানসিক অত্যাচার করা হয়। অভিযুক্ত তরুণ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় অভিযোগ করেছে নিহত কিশোরীর পরিবার।

  • Link to this news (এই সময়)