এক সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে তিন ভাই। তিন জনের পরীক্ষাকেন্দ্রও একই। আগামী দিনেও একই সঙ্গে পড়াশোনা করতে চাইছে তারা।
মেদিনীপুর শহর লাগোয়া খয়রুল্লাচকের বাসিন্দা সাগ্নিক, সৈকত এবং সম্রাট দাশগুপ্ত। খয়রুল্লাচক নেতাজি বিদ্যামন্দিরের তিন পড়ুয়ার পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিন সন্তানকে টোটোতে চাপিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মা মনিকা দাশগুপ্ত। তিনি জানান, তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া আছে। তাঁর আশা তিনজনেই মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে।
তাদের তিন জনের জন্ম প্রায় একই সময়ে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয় তাদের। ওই তিন ভাইয়ের বাবা প্রবীর দাশগুপ্ত পেশায় একজন স্বাস্থ্যকর্মী । মনিকা একজন গৃহবধূ। তিনি জানান, ২০০৮ সালে , একই দিনে তাঁর তিন সন্তানের জন্ম। তাদের বেড়ে ওঠা , খেলা সবকিছুই এক সঙ্গে। তিন ভাই পড়াশোনাও করে একসঙ্গে করে। তিনি বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে দারুন বোঝাপড়া। নিজেদের মধ্যে খুবই ভালো বন্ধুত্ব ওদের।’
সাগ্নিক, সৈকত ও সম্রাট তিনজনই লাজুক স্বভাবের। সোমবার, ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে তারা জানিয়েছে, এ দিন ভালো পরীক্ষা হয়েছে তাদের। বাকি পরীক্ষাগুলিও ভালোভাবে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে সাগ্নিক, সৈকত এবং সম্রাট । বাবা এবং মা তাদের তিনজনকেই পড়াশোনায় সাহায্য করে বলেও জানিয়েছে তিন ভাই। তাদের তিনজনেরই ইচ্ছা আগামী দিনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার।
তবে আগামী দিনে কী হবে তা এখনও ঠিক করেননি তারা। তাদের মা-ও জানিয়েছেন ছেলেদের উপর কোনও চাপ দিতে চান না তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এখন যেমন তিনজনে এক সঙ্গে পড়া করছে, আগামী দিনেও যেন সেই ভাবে পড়াশোনা করে এক সঙ্গে থাকে।’