সৈকত মাইতি, তমলুক: শ্বশুরের লালসার শিকার হয়েছিলেন বধূ। জন্ম দিয়েছিলেন এক শিশুপুত্রের। প্রায় ৬ বছর আগের সেই ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল তমলুক আদালত। সোমবার তমলুকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের (৪র্থ) বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দোষীর বয়স ৫৫ বছরের বেশি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা সে। তার একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবকের স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তমলুকের বাড়িতে। এমন অবস্থায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তরুণী। সেই খবর জানতে পেরেই বউমাকে নানাভাবে দোষারোপ করে তাঁকে বাড়িছাড়া করে শ্বশুর। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতেই আশ্রয় নেন নির্যাতিতা। পাশাপাশি গত ২০২০ সালের ২৪ জুন তমলুক থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা চলাকালীন ওই গৃহবধূ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট ও সমস্ত রকমের তথ্য প্রমাণ এবং সাক্ষ্য গ্রহণের পর বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।