উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে অনুপ্রবেশের দাবি, শিয়ালদহে দুই রোহিঙ্গার গ্রেপ্তারিতে চাঞ্চল্য
প্রতিদিন | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুব্রত বিশ্বাস: অনুপ্রবেশকারী দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে তাদের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধরা হয় বলে খবর। ধৃতদের দাবি, তারা উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে এসেছিল। এর আগেও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হয় তিন রোহিঙ্গাও। এছাড়া হায়দরাবাদ থেকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পথে সাঁতরাগাছি স্টেশনে ধরা পড়ে এক নাবালক-সহ ৪ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা।
জানা গিয়েছে, রবিবার যাদের পাকড়াও করা হয় তাদের নাম মহম্মদ আনাস ও মুন্না। দুজনেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করত। শুক্রবার সিলেটের বাসিন্দা দালাল সহিল খানের তৎপরতায় মেঘালয়ের ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে আসে তারা। গুয়াহাটি থেকে কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেসে তাদের তুলে দেয় ফৈজল নামের এক দালাল। এরপর শিয়ালদহ আসার পরই সন্দেহজনক চলা ফেরায় তারা ধরা পড়ে যায় জিআরপির হাতে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃত দুই রোহিঙ্গা দাবি করেছে, তাদের দিল্লি যাওয়ায় কথা ছিল। সেখানে আরও এক দালাল, আনসারুলের তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এইআইওএস অর্থাৎ ন্যাশানাল ইন্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিংয়ে। সেখানেও মায়ানমারের কিছু ছাত্র রয়েছে বলে তাদের দাবি। তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে জিআরপি।
উল্লেখ্য, গত ৪ সাঁতরাগাছি স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ধরা হয় এক নাবালক-সহ ৪ রোহিঙ্গাকে। বৈধ কাগজপত্র না মেলায় তাদের গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম, মোহাম্মদ আলম, রিয়াসুল ইসলাম, বেগম দিলবার ও রবিউল ইসলাম। এদের মধ্যে একজন নাবালক। দীর্ঘদিন আগে এই চার ধৃত মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে যায়। সেখানের একটি রোহিঙ্গা শিবিরে থাকছিল। তারপর গত ডিসেম্বরের শেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোপনে চলে যায় হায়দরাবাদে। সেখানে চারজনই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। সেখানে কোনও সমস্যায় পড়ে ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।