আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহেই তৃণমূলের নতুন চিকিৎসক সংগঠন ‘প্রগ্রেসিভ হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সূচনা হয়। অভিযোগ, সেই আরজি করেই তাদের সংগঠনের ব্যানার, ফ্লেক্স ছেঁড়া হয়েছে। যদিও কে বা কারা এই ব্যানার ছিঁড়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই সংগঠনের সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে তাঁদের সংগঠনের লাগানো সাতটি ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
আরজি করের নির্যাতিতার জন্মদিন ছিল রবিবার। সেই কথা মাথায় রেখেই নির্যাতিতার স্মরণে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়। নির্যাতিতাকে স্মরণ করার সবচেয়ে বড় আয়োজনটা হয়েছিল মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়্যারে। সেই মৌন মিছিল শেষ হওয়ার কথা ছিল আরজি করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী আরজি কর হাসপাতালে ঢোকার আগেই মিছিল আটকে দেয়। যা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েও উঠেছিল। তার পরই তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ফ্লেক্স এবং ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ তুলে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, এ ভাবে সরাসরি তাঁদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর), টালা থানার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান শশী। বিষয়টি নিয়ে আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। আগেই ফ্লেক্স ছেঁড়ার বিষয়টি জানিয়ে ইমেল মারফত অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ স্বপক্ষে কিছু সিসিটিভি ফুটেজও পাঠানো হয়েছে অধ্যক্ষের কাছে। তবে সেই ফুটেজে কী আছে, তা স্পষ্ট নয়। শশীর প্রশ্ন, তবে কি আন্দোলনের মুখ ঘুরে গিয়েছে?
শশী বা সংগঠনের কেউই সরাসরি কারও বিরুদ্ধে ফ্লেক্স বা ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ আনেনি। তবে অনেকের মতেই, শাসকদলের সংগঠনের নিশানায় আরজি করের ঘটনার পর আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরাই। যদিও জুনিয়র ডক্টরস্ ফ্রন্ট স্পষ্ট জানায়, তারা কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাদের তরফে ঘটনার নিন্দাও করা হয়েছে। ফ্রন্টের অন্যতম সদস্য আশফাকুল্লা নাইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অন্যের ব্যানারে হাত দেওয়ার আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই। যাঁদের যত ইচ্ছে ব্যানার লাগাতেই পারেন। তবে যদি কেউ ব্যানার খুলে থাকে, তবে ভুল করেই করেছেন। আমরা পুরো ঘটনার নিন্দা করছি।’’