• এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে বনদপ্তর
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: হাতি, হেঁড়োল সহ নানা প্রাণী দেখা যায় কাঁকসার জঙ্গলমহলে। মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে মেটাতে তাই চিন্তার শেষ নেই জঙ্গলমহলে। সোমবার বনদপ্তরের ‘ঐরাবত’ গাড়ি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ‘এসকর্ট’ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল। বনদপ্তরের বর্ধমান বিভাগের এই পদক্ষেপে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। 


    সোমবার পরীক্ষার প্রথম দিনে সকালে বনদপ্তরের ‘ঐরাবত’ সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি মলানদিঘির রক্ষিতপুর, সরস্বতীগঞ্জ, ত্রিলোকচন্দ্রপুর থেকে পরীক্ষার্থীদের এসকর্ট করে মলানদিঘি, দেবশালা ও ত্রিলোকচন্দ্রপুরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। যে সব পড়ুয়ার বাইক বা সাইকেল ছিল না, তাদের ওই গাড়িতে তুলে নেন দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন অভিভাবকরা বলেন, কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়া থেকে কাঁকসা এলাকায় দু’টি হাতি দেখা গিয়েছিল। পরে অজয় নদ পেরিয়ে তারা বীরভূমে চলে যায়। এছাড়া একটি নেকড়ে দেবশালা পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে আচমকাই চলে এসেছিল। ২০ জনকে আক্রমণও করে। পরে গ্রামের লোকজন লাঠি, বাঁশ হাতে সেটিকে ধাওয়া করছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ সতর্ক রয়েছে বনপ্তর। দপ্তরের কর্মী মনোহর ঘোষ বলেন, মোট তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রতিটি জঙ্গল ও প্রতিটি বিদ্যালয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। শুধু বন্যপ্রাণীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করাই নয়, পরীক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার কবলেও যাতে না পড়ে তাও দেখা হচ্ছে। যে সমস্ত পড়ুয়ারা হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছে, তাদের গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছি আর যারা সাইকেলে যাচ্ছে তাদের জঙ্গলগুলি পার করিয়ে দিচ্ছি। দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিগত চার বছর ধরে এসকর্ট করে পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো হচ্ছে। যদিও এখন এলাকায় হাতির গতিবিধির খবর নেই, তবুও আমরা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছি। বনদপ্তরের এই উদ্যোগে খুশি পরীক্ষার্থীরা বলছে, এমনিতেই পরীক্ষা নিয়ে টেনশন রয়েছে। তার উপর জঙ্গলে নানা প্রাণী রয়েছে। ওই পথ পেরিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। তবে এখন ভয় করছে না। ওঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)