পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড়ে বোলপুর স্কুলবাগানে তীব্র যানজট
বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বোলপুর: সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে বোলপুরের স্কুলবাগানের শতাব্দীপ্রাচীন দুই স্কুলের সামনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় উপচে পড়ে। তীব্র যানজট হয়। যা সামাল দিতে পুলিস ও ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের দিনভর হিমশিম খেতে হয়। উল্লেখ্য, জনবহুল ওই এলাকায় রয়েছে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। দু’টিই শহরের অন্যতম দু’টি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শহরের অধিকাংশ স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র হয়েছিল। অভিভাবকদের দাঁড়ানোর কোনও জায়গা না থাকায় তাঁরা রাস্তাতেই ভিড় করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ভিড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বোলপুর শহর তো বটেই বীরভূম জেলার অন্যতম প্রাচীন এই দুই স্কুল রয়েছে স্কুলবাগান এলাকায়। তাই শহরের অধিকাংশ স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে এই দু’টি স্কুলকেই বেছে নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবছর বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শহরের মোট আটটি স্কুলের ৩৮৭জন পরীক্ষায় বসেছে। বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, বাঁধ নবগ্রাম গান্ধী বিদ্যাপীঠ, বোলপুর নিচুপুটি নীরদবরণী উচ্চ বিদ্যালয়, বোলপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, গোয়ালপাড়া তনয়েন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয় ও নব নালন্দা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র হয়েছে এই স্কুল।
এবছর বোলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯ জন। তার মধ্যে পরীক্ষায় বসেছে ৪৮৯ জন। শহরের মোট ন’টি স্কুলের ছাত্রীরা এই স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। তারমধ্যে বোলপুর শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয়, শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, একলব্য রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, রাধাচরণ মেমোরিয়াল স্কুল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। দু’টি স্কুলই রাস্তার দু’পাশে হওয়ায়, পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একত্রে আসার কারণে ব্যাপক ভিড় হয়। ফলে ট্রাফিক আধিকারিকরা যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খান। অভিভাবকদের দাঁড়ানোর কোনও জায়গা নেই বলেই প্রতিবার একই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ।
বোলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে প্রতি বছরই অভিভাবকদের ভিড় উপচে পড়ে। পড়ুয়ারা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেটি আমাদের কাছে অগ্রাধিকার থাকে। সময় নষ্ট হলে পরীক্ষার্থীদের মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তারা যাতে সুস্থ থেকে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেই বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
এব্যাপারে বীরভূমের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, প্রথমদিনের পরীক্ষার পর বিষয়টি নজরে এসেছে। পরবর্তী দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য ওই এলাকায় আরও বেশি পুলিস মোতায়েন করা হবে। নিজস্ব চিত্র