• বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসব মুখর পাণ্ডুগ্রাম
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: সোমবার আরামবাগের পাণ্ডুগ্রামে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরের পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল। মাধবপুর পঞ্চায়েতের পাণ্ডুগ্রামে বিশ্বেশ্বরের জন্য নির্মিত হয়েছে সুউচ্চ সুদৃশ্য মন্দির। তিন বছর ধরে সেই মন্দির নির্মাণের কাজ চলেছে। এদিন সেখানেই আরাধ্য দেবতা বিশ্বেশ্বরের পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়। উৎসব ঘিরে এদিন কয়েক হাজার ভক্তকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ায় মন্দির নির্মাণ কমিটি।


    মন্দির কমিটির সম্পাদক চিন্ময় রায় বলেন, বিশ্বেশ্বর শিবের জন্য গ্রামের বাসিন্দারা মন্দির নির্মাণ করতে আগ্রহী হন। তারপরই উদ্যোগ নিয়ে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গ্রামের সব বাসিন্দা তাতে সহযোগিতা করেছেন। পাশের এলাকার অনেক বাসিন্দাও আন্তরিকতার সঙ্গে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। এদিন ধুমধাম করে পুনরায় প্রতিষ্ঠা হল।


    পুরোহিত অনন্তকুমার চক্রবর্তী বলেন, বাইরের অনেকেই এদিন পুজো দিতে আসেন। প্রত্যেকেই যাতে শান্তিতে থাকেন, তার প্রার্থনা করে এদিন মন্দির পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। 


    পাণ্ডুগ্রামের বারোয়ারি তলায় বাবা বিশ্বেশ্বর শতাধিক বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন। তার সঙ্গেই সেখানে পূজিত হন কালী, মনসা, ষষ্ঠী, ক্ষেত্রপাল, পাণ্ডুপাল, মহাপ্রভু। তাঁদের নিত্যপুজো করেন বাসিন্দারা। এদিন বিশ্বেশ্বর শিবকে নব নির্মিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই উপলক্ষ্যে গ্রাম ছিল উৎসব মুখর। গ্রামের পুরুষ-মহিলা অনেকেই শেওড়াফুলির গঙ্গা থেকে বাঁকে করে জল আনেন। পাণ্ডুগ্রামের ফুটবল মাঠ থেকে বিশেষ শোভাযাত্রা হয়। মহিলা ঢাকি ও নানা বাদ্য যন্ত্রে মুখরিত হয়ে ওঠে পাণ্ডুগ্রাম। ভগীরথ সায়র থেকে মঙ্গলঘটে করে জল আনা হয় মন্দির চত্বরে। সেই জল দিয়েই অভিষেক করেন পুরোহিতরা। বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরের পুনরায় প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে গ্রামে বহু অতিথি এসেছেন। আট থেকে আশি প্রত্যেকেই নতুন পোশাক পরে উৎসবে শামিল হন। বারোয়ারি তলায় মন্দির চত্বর ফুল দিয়ে সাজানো হয়। তারসঙ্গে ভক্তদের জন্য খিচুড়ি, পায়েস প্রসাদের ব্যবস্থাও করে মন্দির কমিটি। পাণ্ডুগ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে শিব ভক্তরা এই প্রসাদ খেতে ভিড় জমান। স্থানীয় পম্পা ঘোষ ও সংযুক্তা চৌধুরী বলেন, মন্দির প্রতিষ্ঠার মঙ্গল ঘট আনতে যাওয়ার অনুষ্ঠানে গ্রামের সবাই যোগ দিয়েছিলাম। মন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে গোটা গ্রাম উৎসবে মেতেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)