• দেউচায় তোলা ব্যাসল্ট পাথর বিক্রি হবে অকশনের মাধ্যমে
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: এশিয়ার বৃহত্তম কোল ব্লক দেউচা পাচামিতে জোরকদমে চলছে খনন কার্য। তবে কয়লার আগে পাওয়া যাবে ব্যাসল্ট। সেই পাথর ‘পাবলিক অকশন’ করা হবে। যদিও সেই অকশন প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পিডিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্যের একাধিক দপ্তর ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে। একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এখন অপেক্ষা ব্যাসল্ট তোলার। পিডিসিএলের সিএমডি পি বি সেলিম বলেন, উত্তোলিত ব্যাসল্ট পাবলিক অকশন করা হবে। সেই পাথর নেওয়ার জন্য রাজ্যের একাধিক দপ্তর যোগাযোগ শুরু করেছে। রেলের তরফেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, দেউচা পাচামি থেকে পাথর তোলা শুরু হলেও স্থানীয় ছোট পাথর ব্যবসায়ীরা কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।


    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই দেউচা পাচামির চাঁদা মৌজায় ১২ একর সরকারি জমিতে জোরকদমে খনন চলছে। কর্তৃপক্ষ আশাবাদী,  আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই সেখান থেকে ব্যাসল্ট তোলা শুরু হবে। দেউচা পাচামিতে মাটির নীচে কয়লার উপরিভাগে বিপুল পরিমাণ ব্যাসল্ট মজুত রয়েছে। মাটির প্রায় ২৪ মিটার নীচে তা রয়েছে। সেই পাথর তুলে তা বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে পাবলিক অকশনের মাধ্যমে তা রপ্তানি করা হবে। তার দিনক্ষণ আগামীতে নির্ধারণ করা হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পূর্তদপ্তর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর, কেএমডিএ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর পিডিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দেউচা থেকে পাথর কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে রেলের তরফেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। 


    জানা গিয়েছে, দেউচা পাচামির মাটির তলায় থাকা ব্যাসল্টের গুণগতমান ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের তুলনায় অনেক ভালো। এছাড়াও, বীরভূমের দেউচা পাচামি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানির ক্ষেত্রেও খরচ খুব একটা বেশি হবে না। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের তুলনায় দেউচা পাচামির পাথরের মূল্য অনেকটাই কম হবে। স্বাভাবিকভাবেই আগামীতে এই পাথরের চাহিদা ক্রমশ বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাভের অঙ্কও বাড়বে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দেউচা পাচামিতে তোলা পাথর রপ্তানি করে যা আয় হবে তা রাজ্য ও সংস্থার মধ্যে ভাগ হবে। আয়ের ৭১.৫ শতাংশ রাজ্যের কোষাগারে যাবে। বাকি ২৮.৫ শতাংশ পাবে উত্তোলনকারী সংস্থা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)