• খড়্গপুরের মাদপুর শহিদ মেলায় রেকর্ড ভিড়, ৫ কোটির ব্যবসা
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাজদীপ গোস্বামী, মেদিনীপুর: খড়্গপুর-২ ব্লকের মাদপুর শহিদ মেলায় বিক্রিবাটার নয়া রেকর্ড গড়া হল। এই মেলায় ব্যবসার পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা ছাড়াল। সেইসঙ্গে মেলায় কয়েকলক্ষ মানুষের উপস্থিতি বিশেষ নজর কেড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় মেলাটিতে ভিনরাজ্য থেকেও বহু মানুষ এসেছেন।


    ৩১ জানুয়ারি ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। গত শনিবার মেলার সমাপ্তি হয়েছে। ২৭তম বর্ষের এই মেলায় ভিড় উপচে পড়েছিল। মেলায় ব্যবসা ভালো হওয়ায় বিক্রেতারা খুশি। মেলা কমিটির উদ্যোগে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল।


    মেলা কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, মেলায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়েছে। শেষের দু’দিনের ভিড় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। পুলিস ও প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের মেলা আয়োজন সম্ভব হতো না। মেলায় আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


    ১৯৯৯সালে খড়্গপুর-২ ব্লকের মাদপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একটি মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম বছর থেকেই মেলার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে নাম হয় শহিদ মেলা। প্রথমদিকে মেলা কমিটির সদস্য কম ছিল। পরে মেলার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়তে থাকে।প্রথম বছর মাদপুর স্টেশন লাগোয়া মাঠে মেলা আয়োজিত হয়েছিল। সেই মেলায় প্রচুর বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। চালুর কয়েকবছরের মধ্যে মেলার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে মেলা কমিটির সদস্যদের জনসমাগম সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। সেজন্য শুরুর পাঁচবছর পর থেকে মাদপুর লেভেল ক্রসিং এলাকায় মেলা বসতে থাকে। এবছর মেলায় রাজ্যের হুগলি, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা ছাড়াও প্রতিবেশী ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকেও ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন। নানা ধরনের পোশাক, সুস্বাদু খাবার ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতা মলয় মণ্ডল বলেন, মেলায় প্রচুর মানুষ এসেছেন। এই মেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিক্রি ভালোই হয়েছে।


    মেলা কমিটির সহ-সভাপতি অশোক সরকার ও বিশেষ সদস্য রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় বলেন, মেলায় আসা মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল।মেলা কমিটির সদস্যরা খেলাধুলোকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। মেলার পাশাপাশি ভলিবল, ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলা আয়োজন হয়েছিল। তাতে বহু খেলোয়াড় অংশ নেয়। ক্যারম, তাস, দাবা সহ বিভিন্ন ইনডোর গেমের প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।মেলা কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, খেলাধুলোর চর্চা বজায় রাখতে আমরা চেষ্টা করেছি। মেলায় একহাজারের বেশি স্টল বসেছিল। আগামী বছর মেলার পরিসর আরও বাড়বে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)