পুরাতন মালদহের পাঁচশত বছরের পুরনো মহাপ্রভুর ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের জীর্ণ দশা
বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে মালদহের রামকেলিতে চরণধূলি দিয়েছিলেন শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। জনশ্রুতি রয়েছে, মহাপ্রভুর আগমন উপলক্ষে পরে পুরাতন মালদহে মহাপ্রভুর ঠাকুরবাড়ি মন্দির নির্মাণ করা হয়। সেজন্য ফি বছর রামকেলি মেলার পরদিন দূরদূরান্তের ভক্তরা সংশ্লিষ্ট মন্দিরে ছুটে আসেন। অভিযোগ, বর্তমানে মহাপ্রভুর ঠাকুরবাড়ি মন্দিরটি একেবারেই জরাজীর্ণ দশা হয়ে রয়েছে। রং চটে গিয়েছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। তা আটকাতে মন্দিরের ছাদে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের দেওয়াল থেকে পুরনো ইটও উঁকি দিচ্ছে। দীর্ঘ বছর ধরে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই মন্দির সংস্কার করা হয়নি। এই। মন্দিরের হাল ফেরাতে পুরসভা এবং প্রশাসনের নজর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
এই মন্দিরে ৬২ বছর ধরে পুজো করছেন ওড়িশার বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, শহরের পাশে মহানন্দা এবং কালিন্দী নদী মিশে গিয়েছে। সেই কালিন্দী নদীপথ রামকেলির দিকে গিয়েছে। মহাপ্রভু মালদহে এসে এই নদীপথ দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের থেকে শুনেছি এই মন্দির তার পরপরই তৈরি হয়। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ, বলরাম, শ্রীরাধাকৃষ্ণ প্রাচীন বিগ্রহ রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন মহলে অনেক বলেছি, কিন্তু কিছু হয়নি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, ওটা আমাদের ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। আমাদের গোটা এলাকা আগে প্রাচীন মালদহ সদর জেলা ছিল। আমি দু’দশকের বেশি সময় আগে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু অনুমোদন হয়নি। আমি জেলাশাসককে বিষয়টি জানাব। প্রশাসনকে দিয়ে হেরিটেজ বিভাগকে আবারও প্রস্তাব পাঠানো হবে।