• বাস থেকে জখমদের উদ্ধারে ঝাঁপাল ৩ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অপু রায়, নকশালবাড়ি: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার দিন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল তিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সোমবার নকশালবাড়ির চানাপট্টিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী মিনিবাস। চোখের সামনে এতবড় দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে পাড়ার দাদা-কাকাদের সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিন পরীক্ষার্থী রোহিত মাহাত, মিথিলেশ মাহাত ও মণীশ মাহাত। 


    এই তিন পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছিল নকশালবাড়ির নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলে। দুপুরে পরীক্ষা শেষে তারা বাড়ি ফেরে। খাওয়াদাওয়া সেরে ইংরেজি বইতে চোখ বুলিয়ে নেওয়ার আগে গ্রামের রাস্তায় পরন্ত বিকেলের রোদে হাঁটাহাঁটি করছিল। গ্রামেরই বাসিন্দা প্রদীপ মাহাত রাস্তার ধারের কলে স্নান করছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে তাদের চোখের সামনেই। একটি স্কুটার দ্রুত গতিতে এশিয়ান হাইওয়ে-২ ধরে আসছিল। শিলিগুড়ির দিক থেকে আসা লোকাল রুটের বাসটি স্কুটার চালককে বাঁচাতে সজোরে ব্রেক কষতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। প্রদীপ মাহাত, অজিত মাহাত ও গোবিন্দ মাহাত উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাড়ার কাকা-দাদাদের সাহায্য করতে ওই তিন পরীক্ষার্থীও হাত লাগান। একেএকে ১৩ জনকে তারা বাসের জানালার কাচ ভেঙে বাইরে বের করে আনে। ওই ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন শিশু-কিশোরও ছিল। 


    মণীশ বলে, মঙ্গলবার ইংরেজি পরীক্ষা। পড়তে বসার আগে গ্রামের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তখনই দুর্ঘটনা। বাসটি রাস্তার উপরেই উল্টে যায়। স্কুটারটিও দুমড়েমুচড়ে যায়। কাকা-দাদাদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত দিই। মিথলেশ বলে, বাস কন্ডাক্টর বাসের নীচে চাপা পড়ে যান। দাদা-কাকারা ওঁকে টেনে বের করে আনে। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগে দেখিনি। কয়েকজনকে উদ্ধার করে টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে পাঠাই।  আহতদের উদ্ধার করে হিরো রোহিত, মিথিলেশ ও মণীশ। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)