• মধু সংগ্রহ করতে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে ইটাহারে ঘাঁটি মোশারফদের
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইটাহার: শীতের মরশুমে সর্ষে ফুলের মধু সংগ্রহ করতে এসে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার  মৌপালকরা। তাঁদের সংগ্রহ করা মধু পাড়ি দেবে কাশ্মীরে। তবে মৌপালকদের আক্ষেপ, কয়েকশো কিমি দূর থেকে এসে এই ব্যবসায় লাভ খুব একটা হয় না। এমনই বক্তব্য উত্তর চব্বিশ পরগনার মাটিয়া থেকে আসা মৌপালক মোশারফ হুসেন ও শেখ সৈদুল হকদের।


    উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকজুড়ে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে সর্ষে চাষ হয়। ফলে প্রতি বছর ভিনজেলা থেকে জনা দশেক মৌপালক  ইটাহারের সুলিয়াপাড়া, গোঠলু, কালোমাটিয়া, চেকপোস্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে আসেন মধু সংগ্রহ করতে। এবার গোঠলু এলাকায় মোশারফ ও শেখ সৈদুলরা ১৭০ টি বাক্স নিয়ে বসেছেন। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেল, প্রতিটি বাক্সে প্রায় ১৫ হাজার মৌমাছি থাকে। একটি বাক্স থেকে গড়ে ৬ কেজি মধু পাওয়া যায়। আবহাওয়া ভালো হলে ১ মাসে ৪ বার মধু সংগ্রহ করা যায় একটি বাক্স থেকে। 


    তবে মধু সংগ্রহ করে খুব একটা লাভ হয় না মোশারফদের।  তাঁদের আক্ষেপ, ঘরবাড়ি, পরিজন ছেড়ে কয়েকশো কিমি দূরে এসে প্রায় দেড় মাস মাঠে-ঘাটে তাঁরা তাবু খাটিয়ে থাকেন মধু সংগ্রহের আশায়। কিন্তু নামি কোম্পানি ও ফঁড়েরা ছোট ছোট মৌপালকদের কাছ থেকে মধু কিনে অধিক লাভ করে। মৌপালক মোশারফ বলেন, গত বছর লাভ হয়নি। এবার কী হবে জানি না। ফঁড়েরা মৌপালকদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে মধু কিনে নেন। এরপর সেই মধু প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। এমনকী এই মধু চলে যায় কাশ্মীরেও। সেখানে দাম আরও বেশি। লাভ বেশি না হওয়ায় হতাশ মৌ পালকরা। শেখ সৈদুল জানান, ৬ মাস মধু সংগ্রহ চলে। তবে ভিনজেলায় এসে খাটনি ও খরচের তুলনায় মধুর দাম পাই না আমরা। ব্লক কৃষি অধিকর্তা গৌরব সাহা বলেন, আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্লকের মৌ পালকদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যাঁরা এখানে এসেছেন, তাঁরা নিজের জেলা বা ব্লকে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আর দামের বিষয়টির জন্য কৃষি বিপণন দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি আধিকারিক।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)