• এক বছরেই ভাঙল আত্রেয়ীর বাঁধের একাংশ, তদন্তের নির্দেশ
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: জলের তোড়ে ধস নেমে ভেঙে পড়ল নবনির্মিত আত্রেয়ী বাঁধের একাংশ। আত্রেয়ীর পশ্চিমপাড়ের সিঁড়ি ভেঙে তলিয়ে গেল নদীতে। স্লুইস গেটও ভেঙে পড়ায় বাঁধের একাংশ ভেঙে জল বইছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চকভৃগুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বাঁধের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় রবিবার রাত থেকে হইচই শুরু হয়েছে। রাতেই পৌঁছয় সেচদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সোমবার সকালে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়াতেই এই বিপত্তি। বাঁধের কাজের মান নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন।


    সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তাল সহ অন্যরা। দ্রুত বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। আজ, মঙ্গলবার সেচদপ্তরের সেন্ট্রাল ডিজাইন অফিস থেকেও আধিকারিকরা আসছেন। 


    জেলাশাসক বলেন, বাঁধের মূল অংশের কিছু হয়নি। বাঁধের ধারে সিঁড়ির মাটি ধসে গিয়েছে। সেচদপ্তর মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। 


    আত্রেয়ীর বাঁধের পরেই বহু মানুষের বসবাস। বাঁধের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় রবিবার রাত থেকেই ঘুমাতে পারেননি বাসিন্দারা। এবিষয়ে অমল ঘোষ বলেন, রবিবার মধ্যরাতে হুড়মুড়িয়ে বাঁধের একাংশ ভেঙে পড়ে। নিম্নমানের কাজ হওয়াতেই এই বিপত্তি। জেলাশাসক বলেন,তদন্ত চলছে। কী কারণে বাঁধ ভাঙল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাঠাব। 


    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের মানুষের জল সমস্যা মেটাতে প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচে বালুরঘাটে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ দেয় সেচদপ্তর। ২০২৩ সালে বাঁধের কাজ শেষ হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি বালুরঘাটে এসে বাঁধের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আরও টাকা খরচ করে বেড়া ও নানা কাজ হয়েছিল। একবছরেই বাঁধের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত। বলেন, বাঁধ তৈরির জন্য এক্সপার্টদের মতামত নেওয়া হয়নি। শাসকদলের নেতারা কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের বাঁধ বানিয়েছে। তাই বাঁধ ভেঙেছে। বাঁধের কাজে কাটমানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। বলেছেন, ওই বাঁধ ডিএম নিজে তদারকি করে তৈরি করেছেন। জলের তোড়েই এই বিপত্তি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)