ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দল পাঠানো নিয়েও বিতর্ক রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে
বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ওড়িশায় একটি টুর্নামেন্টে ক্রিকেট দল পাঠানো নিয়েও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট স্পোর্টস বোর্ডের টাকা অনুমোদনে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে কোনও বৈঠক ও রেজোলিউশন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্রিকেট দলের জন্য ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা অনুমোদন করেছে। আর এই নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্দরে তৈরি হল আরেক বিতর্ক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার অন্য কথা বলছেন। তিনি বলেন, স্পোর্টস বোর্ডের জন্য প্রত্যেক বছর একটা নির্দিষ্ট বাজেট আসে। এবছরও সেই মতো বাজেট এসেছে। বাজেট বইতে সে বিষয়ে উল্লেখ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বোর্ডের চেয়ারম্যান উপাচার্য দীপককুমার রায়। উপাচার্যই ছাত্রদের বাইরে খেলতে যাওয়ার মঞ্জুরী দিয়েছেন। সবকিছুই আমাদের বাজেট বই অনুসারেই হয়েছে। এবিষয়ে উপাচার্যর প্রতিক্রিয়া, নিয়ম মেনেই দলটির জন্য টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেনডেড অশিক্ষক কর্মী তথা তৃণমূলের অশিক্ষক কর্মী সংগঠনের নেতা তপন নাগ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগে সরব হন। তাঁর দাবি, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্রিকেট দল ওড়িশায় খেলতে গিয়েছে। তার জন্য কয়েকজন আধিকারিক চুপিসারে কোনও বৈঠক ও রেজোলিউশন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বোর্ডের ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা অনুমোদন করেছে। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধে।
তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি সাসপেনডেড থাকলেও আমি স্পোর্টস বোর্ডের সদস্য। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, অশিক্ষক কর্মী হিসেবে আমি সাসপেনডেড থাকলেও স্পোর্টস বোর্ডে আমি সাসপেনডেড নই। তপনের সংযোজন, নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ এখনও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কয়েকদিন আগেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট জোন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ওড়িশা গিয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জনের একটি দল। আজ, মঙ্গলবার থেকে দলটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ওই টুর্নামেন্টে যারা জয়ী হবে, তারা জাতীয়স্তরে খেলার সুযোগ পাবে। কয়েকদিন আগে ধুমধাম করে ওই টিমকে জার্সি সহ ক্রিকেট কিট তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই এই নয়া বিতর্কের সৃষ্টি বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়েবকুপা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট প্রেসিডেন্ট নির্ঝর সরকার বলেন, আমি বাইরে আছি। আগামীকাল আমাদের একটি বৈঠক আছে। তারপরই এ ব্যাপারে যা বলার বলব।