• কলেজ সমূহের পরিদর্শকের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
    বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মালদহ: আবারও বিতর্ক গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে জানুয়ারি মাসে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে ই-মেইল করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবর্তী। এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে পাল্টা জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁর বিরুদ্ধে গঠিত উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তদন্ত কমিটি থেকে নজর ঘোরাতেই ‘বাজার গরম’ করতে নেমেছেন কলেজ সমূহের পরিদর্শক। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কর্মসূচি রয়েছে। সেটা লঘু করতেই গত মাসের একটি বিষয়কে নতুন করে আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।


    সোমবার অপূর্ব বলেন, গতবছর ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক হিসাবে আমার অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমাকে কলেজ সমূহের পরিদর্শকের দপ্তর সরানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত তার রায় দিয়েছে। এরপর জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার দপ্তরে এসে দপ্তর সরিয়ে নিতে চাপ দেয়। জানুয়ারি মাসে উপাচার্যের ঘরে আমাকে ডেকে পাঠিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা লড়ার ব্যয় বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৩ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। আমি দিতে অস্বীকার করেছি। বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকেও ই-মেইল করে জানিয়েছি। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ওই আধিকারিকের কাছে আদৌ মামলা লড়ার খরচ চাওয়া হয়েছে কি না জানি না। তাঁর দপ্তর সরানোর সিদ্ধান্ত স্পেস অ্যালোকেশন কমিটির। এর আগে অন্যান্য দপ্তরও স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি আচমকা মামলা করে দেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে রায় হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া ফিজের টাকা ব্যয় করে মামলা লড়তে হয়েছে। বিশ্বজিৎ বলেন, অপূর্বর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।  উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই আধিকারিকের কাছ থেকে মামলার অনাকাঙ্খিত খরচ আদায় করার জন্য ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও আধিকারিকদের তরফ থেকে আমাকে একাধিকবার বলা হয়। আমি তাঁকে তাঁদের কথাই বলেছিলাম।
  • Link to this news (বর্তমান)