৩১ লক্ষে ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু অমৃতখণ্ডের কামারপাড়ায়
বর্তমান | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: পাকা রাস্তার দাবিতে বিধানসভা, পঞ্চায়েত, এমনকী লোকসভা ভোটও বয়কট হয়েছিল। একাধিক দলের নেতারা আশ্বাস দিলেও রাস্তা পাকা হয়নি। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়ায়। অবশেষে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কামারপাড়া পিএইচই পাম্প অফিস থেকে কুতুবপুর বটতলা পর্যন্ত ৬৭৫ মিটার রাস্তার কাজ চালু হল। রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র রাস্তার কাজের শিলান্যাস করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার, পঞ্চায়েত প্রধান দেবদূত বর্মন, পঞ্চায়েত সদস্য আনন্দ মাহাত প্রমুখ। স্থানীয়দের দাবি, স্বাধীনতার পরে অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে চকমাধব পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে চকমাধব থেকে কুতুবপুর পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা হলেও কুতুবপুর থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত রাস্তা বেহাল ছিল। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে, টোটো, অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্য কোনও গাড়িই চলাচল করতে পারত না। গত লোকসভা ভোটে প্রচারে এসে রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন বিপ্লব। অবশেষে কথা রাখলেন তিনি। কৃষি বিপণন মন্ত্রী থাকাকালীন রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির তরফে ৩১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। যার টেন্ডার সম্পূর্ণ করে এদিন কাজের শিলান্যাস হয়। মন্ত্রী বিপ্লব এদিন বলেন, ভোটের প্রচারে এসে বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক রাস্তা তৈরি করে দেব। সেই মোতাবেক রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির তহবিল থেকে ৩১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে পাকা রাস্তা তৈরি করতে। চকমাধবের বাসিন্দা ভৈরব বর্মন বলেন, এই রাস্তা তৈরি সম্পূর্ণ হলে গ্রামবাসীরা খুবই উপকৃত হবে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে চকমাধবের দূরত্ব প্রায় দুই কিমি। চকমাধব, কুতুবপুর মিলিয়ে প্রায় দু হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তা মেরামত না হওয়ায় ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোট বয়কট করেন গ্রামবাসীরা। একই দাবিতে পঞ্চায়েত ভোটও বয়কট করেন তাঁরা। লোকসভার ভোটদান থেকেও বিরত থাকেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ। দীর্ঘ আন্দোলনে পরে ৬৭৫ মিটার ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।