নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: প্রসূতি মৃত্যুর কারণ জানতে এবার আরটিআই করল পরিবার। সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের এমএসভিপি’র অফিসে এসে মৃত সান্ত্বনা রায়ের পরিবার আরটিআই করে। তথ্য জানার অধিকার আইনে তারা জানতে চায়, এখানে ভর্তি থাকাকালীন ওই প্রসূতিকে কী ওষুধ, ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরই পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন চিকিৎসকরা প্রসূতির চিকিৎসা করেছিলেন? সবশেষে জানতে চাওয়া হয়েছে, চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে তাদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের তরফে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটি কী রিপোর্ট দিল?
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, নিয়ম মেনে যদি ওই প্রসূতির পরিবার কোনও আবেদন করে থাকে, নিশ্চয়ই তার উত্তর দেওয়া হবে।
এদিকে, মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ঘটনায় পাঁচ সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এদিন সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। রিপোর্টে চিকিৎসায় গাফিলতির দিকটি সেভাবে ধরা পড়েনি। তবে প্রসূতি যে ক’দিন মেডিক্যালে ভর্তি ছিলেন, সেই সময়ে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না, শুধুমাত্র সেটাই খতিয়ে দেখেছে তদন্ত কমিটি। পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসা এবং সেখানে মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেসব বাদ রেখেই স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনে জমা পড়া তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সিজারের পর যখন ওই প্রসূতি বলেন, তাঁর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তখনই ওয়ার্ডেই ইউএসজি করে দেখে নেওয়া হয়, ভিতরে কোথাও রক্ত জমাট বেঁধে থাকা কিংবা অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। কিন্তু দেখা যায়, তেমন কিছু নেই।
জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর সান্ত্বনাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সিজারে ৩০ তারিখ সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ৩ জানুয়ারি সান্ত্বনাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। ২৪ জানুয়ারি দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর।