• কী রে যাবি না! হঠাৎ মুখোমুখি মমতা–শুভেন্দু
    এই সময় | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: পূর্ব নির্ধারিত কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবুও তাঁরা মুখোমুখি হলেন। সোমবার বিধানসভার লবিতে আচমকাই দেখা হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এ দিন দুপুর দু’টো নাগাদ বাজেট ভাষণ দিতে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রীতি মেনে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে গাড়ি বারান্দায় তাঁকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ঘটনাচক্রে তখনই নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে বিধানসভা কক্ষের দিকে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। বিধানসভার লবিতে দেখা হয়ে যায় মমতা–শুভেন্দুর। তখনই শুভেন্দুর কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে তিনি যাবেন কি না! বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘কী রে, যাবি না?’

    মমতার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলে‍ন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখিয়ে মমতার উদ্দেশে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা স্পিকারের দায়িত্ব। আমার নয়।’ এরপর অবশ্য কথা আর গড়ায়নি। রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান বিধানসভার গাড়ি বারান্দার দিকে। শুভেন্দুও ঢুকে পড়েন বিধানসভা কক্ষে।

    এ দিন আরও একবার মুখোমুখি হন মমতা–শুভেন্দু। এ বার অবশ্য বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। রাজ্যপালকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার যখন অধিবেশন কক্ষে ঢুকছেন, তখন নিজের আসনেই বসেছিলেন শুভেন্দু। তখন আরও একবার মুখোমুখি হয়ে যান তাঁরা। এ বার নমস্কার এবং প্রতি নমস্কারের সৌজন্য বিনিময় হয় মমতা শুভেন্দুর মধ্যে।

    পরে বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একেবারেই সৌজন্যের বিষয়। এর অন্য কোনও অর্থ খোঁজা অর্থহীন।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দেখে রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে যেতে বলেন। প্রোটোকল অনুযায়ী সে দায়িত্ব স্পিকারের। আমি তাই যাইনি।’ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘বিরোধী দলনেতার পদের মর্যাদা আছে। তাই সৌজন্য জানানো হয়েছে। ভালোই তো!’

    এ প্রসঙ্গে এক বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, ‘বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার দেখা হবে, কথা হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। অন্য রাজ্যে এ সব হামেশাই হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হলেও তা নিয়ে চর্চা হয়।’

    ২০২২–এ বিধানসভায় শুভেন্দুকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। শুভেন্দু অবশ্য সে বার তিন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে ঘরে গিয়েছিলেন।

  • Link to this news (এই সময়)