এই সময়: টানা দু’দিন রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে আটকে থাকার পর সোমবার ভোররাত থেকে ফের তা ঊর্ধ্বমুখী। রাতারাতি প্রায় দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। অন্য দিকে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’ডিগ্রি বেড়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। সামনের কয়েক দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনাই দেখছেন আবহবিদরা।
২০২৪–এর ফেব্রুয়ারিতেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির ঘর পার করেছিল। তবে সেটা ঘটেছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। ২০২৫–এ ৬ ফেব্রুয়ারিতেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল।
এক দিকে, ভোররাতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫–১৬ ডিগ্রির ঘরে নামছে, অন্য দিকে, তার কয়েক ঘণ্টা পরেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার প্রায় ১৪–১৫ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়া (৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছনো) নানা শারীরিক সমস্যারও কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহবিদরা।
একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন আবহাওয়া সংক্রান্ত অন্য এক সমস্যার মুখেও পড়ছেন। সেটা আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত। দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশ কিছু জায়গায় ৯০ শতাংশের বেশি।
আবার ওই সব জায়গারই সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা নেমে আসছে ৪০ শতাংশের ঘরে। এই কারণে কখনও ঘাম হচ্ছে আবার কখনও শুকনো গরম অনুভূত হচ্ছে।
কতদিন চলবে এমন পরিস্থিতি?
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, ‘এই সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ ১৪–১৫ তারিখ নাগাদ রাতের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির ঘরে নামার সম্ভাবনা। তার পর থেকে আর তাপমাত্রা কমবে না। দিন ও রাত, দুয়েরই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।’