আশিস নন্দী, মধ্যমগ্রাম
নিউ টাউনের ইকো পার্কের আদলে এ বার মধ্যমগ্রামেও তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ইকো পার্ক। কেএমডিএ–র আর্থিক সহায়তায় মধ্যমগ্রাম পুরসভা পরিচালিত ইকো পার্কের কাজ চলছে জোরকদমে। চলতি বছরেই ওই পার্ক তৈরি হয়ে যাবে বলে দাবি পুরসভার। খরচ হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা।
পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে রাজ্যের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা মেলার সূচনা করেছিল মধ্যমগ্রাম পুরসভা।এ বার পরিবেশবান্ধব ইকো পার্ক তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত মধ্যমগ্রাম পুরসভা। নিউ টাউনের ইকো পার্কে প্রবল ভিড় হয়।
সে কারণে কলকাতার খুব কাছেই মধ্যমগ্রাম শহরের মধ্যেই দ্বিতীয় ইকো পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত বেশ কয়েক বছর আগেই নিয়েছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ। কিন্তু পার্ক তৈরির ফান্ড নিয়ে কিছু জটিলতার কারণে এতদিন কাজ শুরু করা যায়নি। এ বার সেই সমস্যা মিটে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ১০ একর জমিতেই তৈরি হচ্ছে ইকো পার্ক। পার্কের ভিতরে থাকবে একটা বড় জলাশয়। সেখানে পর্যটকেরা বোটিং করার সুযোগ পাবেন। জলাশয়ের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সেতু।থাকবে অত্যাধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে সাউন্ড সিস্টেম। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে ইকো পার্ক জুড়ে। পার্কের ভিতরে লাগানো হবে বহু ফল ও ফুলের গাছ। বাচ্চাদের খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে মাঠ। প্রবীণদের জন্য থাকছে বসার ব্যবস্থা। পার্কের ভিতরে থাকবে ফুড কোর্ট।
এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘পার্কটিকে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। ইকো পার্কে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো আছে। মধ্যমগ্রাম, বারাসাত শহর, এয়ারপোর্টে থেকে যেমন যাওয়া যাবে এখানে। তেমনই ডানলপ ও ব্যারাকপুরের দিক থেকেও সহজে আসা যাবে মধ্যমগ্রামের ইকো পার্কে। নিউ টাউনের ইকো পার্কের আদলেই মধ্যমগ্রামে তৈরি হচ্ছে ইকো পার্ক।’
মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘২০২০–তে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তার পর কেএমডিএ–র পক্ষ থেকে ইকো পার্ক তৈরির অনুমোদন মেলে। কিন্তু ফান্ডের কিছুটা পরিবর্তনের জন্য কাজ দেরিতে শুরু হয়। আশা করছি চলতি বছরেই পার্ক চালু হয়ে যাবে।’ ইতিমধ্যেই পার্কের চারদিকের গার্ডওয়াল হয়ে গিয়েছে। কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।